করোনা খুব একটা কাবু করতে পারেনি তাঁকে। তাই বলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরির অবস্থার দিকে নজরদারি কমাননি চিকিৎসকরা। তবে ফুসফুসের পুরনো উপসর্গে আক্রান্ত বুদ্ধবাবুর শরীরে করোনা কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে চিন্তায় চিকিৎসকরা। সঙ্গে টিকা নিয়েও কী করে বুদ্ধবাবু ও মীরাদেবী করোনায় আক্রান্ত হলেন, ভাবাচ্ছে সেই প্রশ্নও।
গত মঙ্গলবার বুদ্ধবাবুর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলে। হাজার অনুরোধেও হাসপাতালে যাননি তিনি। বাড়িতেই চিকিৎসা চলেছে তাঁর। দিন কয়েকের মধ্যেই আরোগ্যের পথে তিনি। তবে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত হওয়ার কয়েকদিন আগেই টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন বুদ্ধবাবু ও মীরাদেবী। এর পর তাঁরা করোনা আক্রান্ত হলেও সম্ভবত টিকার কারণেই তাঁদের তেমন কাবু করতে পারেনি ভাইরাস।
চিকিৎসকদের মতে, ফুসফুসের পুরনো উপসর্গে আক্রান্ত বুদ্ধবাবুর শরীরে করোনা কতটা প্রভাব ফেলেছে তা নিয়ে উদ্বেগের কারণ রয়েছে। বিশেষ করে ফুসফুসের নতুন করে কতটা ক্ষতি হয়েছে তা ভাবনার বিষয়। তেমন কোনও সম্ভাবনা দেখা দিয়ে তাঁকে স্টেরয়েড দেওয়ার ভাবনা রয়েছে চিকিৎসকরদের। বুদ্ধবাবুর শারীরিক অবস্থার কোনও কারণে অবনতি হলে আপত্তি অগ্রাহ্য করেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে হাসপাতালে। সেজন্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা সুচেতনার সঙ্গে কথা বলে রেখেছেন চিকিৎসকরা। তৈরি রাখা হয়েছে একটি অ্যাম্বুল্যান্সও।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দ্রুত সুস্ত হয়ে উঠছেন হাসপাতালে ভর্তি মীরাদেবীও। সম্ভবত রবিবার ছুটি পাবেন তিনি।