রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় গ্রেফতারের পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অধিকারদের অনুমান, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ১০০ কোটিরও বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে। গতকাল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের তিনটি ঠিকানাতে তল্লাশি চালান ইডির আধিকারিকরা। যার মধ্যে অর্পিতার বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাট থেকে ২৮ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। অন্যদিকে, অর্পিতার ‘ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্ট’ নামে সংস্থাটি ভুয়ো বলেই জানতে পেরেছে ইডি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখে কসবায় অর্পিতার ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্টের হদিস পান তদন্তকারীরা। এরপর গতকাল ওই ঠিকানায় তাঁর হানা দেন। কিন্তু, সেখানে তল্লাশি চালানোর সময় এক ব্যবসায়ী অর্পিতার বিরুদ্ধে ওই ঠিকানা চুরির অভিযোগ তোলেন। তল্লাশি চলাকালীন ওই ব্যবসায়ী দাবি করেন, কসবার রাজডাঙায় অর্পিতার ওই সংস্থার যে ঠিকানা রয়েছে সেখানে তাদের অফিস ঘর রয়েছে। কেবল টিভি সংস্থার অফিস রয়েছে বলে দাবি করেন রঞ্জিত কর নামে ওই ব্যক্তি। তিনি দাবি করেন ওই অফিসটি তার ভাইয়ের। এরপর দুই ভাই মিলে তার শংসাপত্রও দেখান ইডির অধিকারীকদের।
তাদের অভিযোগ, তাদের ঠিকানা চুরি করেছেন অর্পিতা। একই ঠিকানায় কীভাবে দুটো অফিস থাকতে পারে তাই নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন। এই ঘটনায় তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গতকাল কসবা ছাড়াও অর্পিতার ৮ নম্বর বালিগঞ্জ প্লেস ইস্টের বাড়ি এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। বেলঘরিয়ার ফ্লাট থেকে ২৮ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। গতকাল মধ্যরাত্রি পর্যন্ত চলে টাকা গণনা।