রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। কয়েকদিন আগেই ঝাড়খণ্ডের হাজারীবাগে আয়কর দফতর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেই ঘনিষ্ঠর খোঁজে একটি হোটেলে হানা দিয়েছিল। অবশেষে জানা গেল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেই ঘনিষ্ঠ হলেন ব্যবসায়ী কৌস্তভ রায়। তিনি নবান্নের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তিনি নিজেই পার্থর ঘনিষ্ঠ হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে টাকা পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ঘুরতে যাওয়ার জন্যই তিনি হাজারীবাগে গিয়েছিলেন।
পার্থর ঘনিষ্ঠর খোঁজে হাজারীবাগের একটি হোটেলে আয়কর হানা নিয়ে খবর প্রকাশ করেছিল সংবাদ সংস্থা পিটিআই। সেই খবর অনুযায়ী, আয়কর দফতরের নজরে বেশ কয়েকদিন ধরে পার্থ ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী রয়েছেন। তার খোঁজে হাজারীবাগের একটি হোটেলে হানা দিয়েছিল আয়কর বিভাগ। কিন্তু তার আগেই তিনি পালিয়ে যান। পার্থ ঘনিষ্ঠ ওই ব্যক্তির কাছে প্রচুর পরিমাণে নগদ টাকা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইডির কাছ থেকে সেই খবর পাওয়ার পরে ওই ব্যক্তির সন্ধান করছে আয়কর দফতর।
আয়কর দফতরের এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছিলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে আট ঘণ্টা ধরে ওই হোটেলে তল্লাশি চড়ানো হয়েছিল। এছাড়া হোটেল কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সংস্থার তল্লাশি প্রসঙ্গে কৌস্তভ রায় জানান, ‘আমার বাড়ি এবং অফিস ছাড়াও আমার অনেক কর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। আয়কর দফতর ছাড়াও ইডি ও সিবিআই আধিকারিকরা ছিলেন কিনা বুঝতে পারেনি। তবে জানতে পেরেছি ৩৫০ জন আধিকারিক মোট ৮০ জায়গায় তালাশ চালিয়েছে।’ তার অভিযোগ, তার সংস্থার কর্মীদের হেনস্তা করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। মহিলা কর্মীদের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছেন।
উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন প্রথমবার নিজাম প্যালেস হাজিরা দিয়েছিলেন তখন তার সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন ওই ব্যবসায়ী। এমনকি হাওড়ার ছাত্র নেতা আনিস খান খুনের পর তার বাড়িতে গিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। তাকে ‘মমতার দূত’ বলে কটাক্ষ করেছিল সিপিএম।