বিধানসভায় মঙ্গলবার ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা চেয়ে মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীরা। এবার ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে রাজ্যপালের দারস্থ হবেন তাঁরা। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা থেকে পদযাত্রা করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে রাজভবন পর্যন্ত যাবেন বিজেপি বিধায়করা। সেখানে রাজ্যপালকে ক্যাগের রিপোর্টে উল্লেখিত দুর্নীতি নিয়ে স্মারকলিপি দেবেন তাঁরা এবং তাঁকে এ নিয়ে পদক্ষেপ করার অনুরোধও জানাবেন বিজেপি বিধায়করা।
সোমবার থেকে রাজ্য বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। এই অধিবেশনে বিধায়কদের রণকৌশল ঠিক করতে মঙ্গলবার বৈঠকে বসে বিজেপি পরিষদীয়ও দল। সেই বৈঠকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, বিধানসভার অন্দরে যেমন ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে সরব হবেন বিধায়করা, তেমনি পথে নেমে আন্দোলনও চলবে। ওই বৈঠকে রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। এর পরই ৯ ফেব্রুয়ারি রাজভবনে যাওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়।
পড়ুন। ক্যাগের রিপোর্ট নিয়ে হইচই বিধানসভায়, আলোচনার দাবি বিজেপির, খারিজ স্পিকারের
প্রসঙ্গত, ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা চেয়ে মঙ্গলবার বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। কিন্তু শুনেই তা খারিজ করে দেন স্পিকার। এরপর কক্ষের মধ্যেই হইহট্টগোল শুরু করে দেন বিধায়করা। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে স্লোগন দিতে থাকেন। পরে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন তাঁরা। বাইরেও পোস্টার-স্লোগন দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
তবে শাসকদল একে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাদের কথায়, ‘বিজেপি যতই প্রতিহিংসার রাজনীতি করুক মানুষের আস্থা তৃণমূল কংগ্রেসের উপরই আছে আগামী দিনে তা আবার প্রমাণিত হবে।’
পড়ুন। খরচে গরমিল, ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে হাইকোর্টে বিজেপি, ১৯ ফেব্রুয়ারির পর শুনানি
ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে কেন আলোচনা হল না বিধানসভায়
ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে তিনি আলোচনা করতে দেননি তা পরে সাংবাদিকদের কাছে জানিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'ক্যাগ রিপোর্ট এখানে জমা পড়েনি। তাই রুল ২৩৩-এ স্পষ্ট বলা হয়েছে রিপোর্ট জমা না পড়লে আলোচনার কোনও সুযোগ নেই। তাই আমি খারিজ করেছি।' তিনি জানিয়ে দেন, রিপোর্ট জমা না পড়লে তাঁর পক্ষে আলোচনার সুযোগ দেওয়া সম্ভব নয়।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় বাজেট পেশ। সেই দিন অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত থেকে বাজটে শুনবেন বিজেপি বিধায়করা। বাজেট নিয়ে আলোচনায় অংশও নেবেন তাঁরা। তবে ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা অধিবেশনে ফের চাইবেন বলে পরিষদীয় দলের বৈঠকে ঠিক হয়েছে।