অঙ্গ বিক্রির মামলায় মৃতের দেহের ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর আগে মৃতের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু ময়নাতদন্তের সময়ে দেহ শনাক্ত করতে অস্বীকার করেন পরিবারের সদস্যরা। এরপরই হাইকোর্টের তরফে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
পরিবার সূত্রে খবর, গত ২২ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে মিডল্যান্ড নার্সিংহোমে ভরতি হয়েছিলেন কাকলি সরকার। এর তিন দিনের মাথায় ২৫ এপ্রিল তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের সদস্যদের দাবি, কাকলি সরকার মৃত্যুর আগে তাঁদের জানিয়েছিলেন, এই নার্সিংহোমে অঙ্গ পাচারের চক্র চলে। তাঁর শরীরেরও অঙ্গ বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। মৃত্যুর পর কাকলির এই অভিযোগকে হাতিয়ার করে স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয় পরিবারের সদস্যরা। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে দু'লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয় কমিশন।
এখানেই থেমে থাকেনি মৃতের পরিবার। বেলঘরিয়ার ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের দাবি করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। সরাসরি খুনের মামলা দায়ের করা হয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। পরিবারের তরফে দাবি করা হয, যেদিন কাকলির মৃত্যু হয়েছিল, সেদিন তাঁকে একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল। ইনজেকশন দেওয়ার পরই তাঁর মৃত্যু হয়। এই মামলার প্রেক্ষিতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, মৃতার দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করা হোক। এনআরএসের তিন জন চিকিৎসককে দিয়ে ময়নাতদন্ত করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। ময়ানাতদন্তের জন্য দেহ শনাক্ত করতে পরিবারের সদস্যরা অস্বীকার করলে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশ দেন, ওই মহিলার ডিএনএ টেস্ট করাতে হবে। ফলে মৃত্যুর ৫ মাস পর ডিএনএ টেস্ট হতে চলেছে মহিলার।