বেআইনি নির্মাণ নিয়ে বরাবরই কড়া মনোভাব দেখিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তার ওপর সম্প্রতি গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর কলকাতা হাইকোর্টকে আরও কঠোর অবস্থান নিতে দেখা গিয়েছে। তবে কয়েকদিন ধরে তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। এই পরিস্থিতিতে তীব্র গরমে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে নরম মনোভাব দেখাল কলকাতা হাইকোর্ট। একটি বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত মামলায় বহুতল থেকে প্রথমে বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তবে গ্রীষ্মের দাবদাহে আবাসিকদের অসুবিধার কথা ভেবে মানবিক হল কলকাতা হাইকোর্ট। সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা জুড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত।
আরও পড়ুন: বেআইনি নির্মাণ এবার আসবে প্রকাশ্যে, কলকাতা পুরসভা নিয়ে আসছে নয়া ওয়েবসাইট
বিধাননগরে বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত মামলায় এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছিল বিদ্যুৎ এবং জলের লাইন কেটে দেওয়া হবে। সেইমতোই এই দুই সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছিল ওই বহুতল থেকে। তবে মানবিক হয়ে বৃহস্পতিবার পুনরায় সংযোগ জুড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃত সিনহা। তবে আবাসিকদের সতর্ক করে বলেন, যতদিন না পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ থাকবে ততদিনের মধ্যে বিকল্প থাকার জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে। একইসঙ্গে বিচারপতি অমৃতা সিনহা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বেআইনি নির্মাণটি অবশ্যই ভাঙা হবে।
এদিন মামলার শুনানিতে আদালত জানতে চায় কারা এই আবাসনটি তৈরি করেছিল? তখন বিচারপতি মন্তব্য করেছিলেন, তাদের হেফাজতে পাঠানো দরকার। এর সঙ্গে এই বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল কিনা তা আগেই জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি। যদিও আইনজীবী আদালতে জানান, যে প্রথমে এই আবাসন তৈরির জন্য কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি তবে পরে অনুমতি নেওয়া হয়েছে। ফলে সে ক্ষেত্রে নির্মাণটি যে বেআইনি তা স্পষ্ট হয়েছে আদালতের কাছে।
এর আগে বিচারপতি অমৃতা সিনহা গত ৩ এপ্রিল অবিলম্বে বিধাননগরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত এই আবাসনের বিদ্যুৎ এবং জল সংযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এমনকী ৩০ দিনের মধ্যে আবাসন খালি করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তবে এদিন গ্রীষ্মের দাবদাহের কথা জানিয়ে আবাসিকরা আদালতের কাছে সময় চান । তাতে সাড়া দেয় আদালত। তার পরেই আদালত কড়া অবস্থান থেকে সরে যায়।