বিধাননগরের করুণাময়ীতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের ওপর পুলিশি বলপ্রয়োগের প্রতিবাদে দায়ের মামলার শুনানি পিছিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, অবকাশকালীন বেঞ্চে শুনানির মতো গুরুত্ব এই মামলার নেই। একই সঙ্গে ২০২২ প্রাথমিক টেটের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের মামলারও শুনানি পিছিয়ে দিয়েছে আদালত।
গত ২১ অক্টোবর গভীর রাতে বিধাননগরের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দফতরের সামনে বিক্ষোভরত ২০১৪ টেট উত্তীর্ণদের বলপ্রয়োগ করে হঠিয়ে দেয় পুলিশ। সেদিনের পুলিশি অভিযানকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের দাবি, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর অযথা বলপ্রয়োগ করেছে পুলিশ। আদালতের সমস্ত নির্দেশ মেনে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন তাঁরা। শুক্রবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিনহার ডিভিশন বেঞ্চে। মামলার নথি খতিয়ে দেখে আদালত জানায়, বিষয়টি এত গুরুতর নয় যে অবকাশকালীন বেঞ্চে শুনানি করতে হবে। এই মামলার শুনানি হবে পুজোর ছুটির পর আদালত খুললে।
ওদিকে ২০২২ প্রাথমিক টেটের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা। তাদের অভিযোগ, ২০১৪ সালের টেটে একাধিক প্রশ্ন ভুল ছিল। সেই সমস্যার সমাধান না করেই নতুন টেটের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পর্ষদ। একবার টেট উত্তীর্ণ হয়ে কেন ফের টেটে বসতে হবে তাঁদের? সঙ্গে বিজ্ঞপ্তি খারিজেরও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এই মামলা ওঠে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে। তিনিও মামলার শুনানি আদালত না খোলা পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছেন।