বাসভাড়া মামলায় নির্দিষ্ট সময় মতো রিপোর্ট পেশ করতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালতের চড় খেল রাজ্য পরিবহণ দফতর। বুধবার এই মামলার শুনানিতে পরিবহণ দফতরকে ১০,০০০ টাকা জরিমানা করেছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সঙ্গে আদালত প্রশ্ন তুলেছে, এই গাফিলতি কি ইচ্ছাকৃত, না কি সত্যিই তথ্য নেই পরিবহণ দফতরের কাছে।
রাজ্যের মানুষের কাছে গত কয়েক বছর ধরেই বাসভাড়া একটি বড় সমস্যা। বিশেষ করে করোনার লকডাউনের পর থেকে রাজ্যের বাসমালিকরা ভাড়া বাড়ানোর দাবি করে আসছেন। প্রথমে এব্যাপারে সম্মতি দিলেও পরে বেঁকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওদিকে ভাড়া না বাড়ালে বাস চালানো সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন বাসমালিকরা। এই অবস্থায় বাসমালিকরা বিভিন্ন রুটে ইচ্ছামতো ভাড়া নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। এমনকী একই রুটে দুবেলা দুরকম ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
অবশেষে সিবিআইয়ের জালে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ গায়েন
এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের এক মামলায় দাবি করা হয়, বাসভাড়া নিয়ে রাজ্য সরকার নীতিহীনতায় ভুগছেন। যার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সেই মামলার শুনানিতে গত ১৭ জুন রাজ্যের পরিবহণ দফতরকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজেশ ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার নির্ধারিত বাসভাড়ার তালিকা সব রুটের সব বাসে টাঙানো রয়েছে কি না তা জানাতে হবে। জানাতে হবে সেই তালিকা মেনে বাসগুলি ভাড়া নিচ্ছে কি না। যাত্রীদের অভিযোগ গ্রহণের জন্য সরকার কী পদক্ষেপ করেছে তাও জানাতে হবে রাজ্যকে। বুধবার সেই রিপোর্ট পেশের শেষদিন থাকলেও পরিবহণ দফতর থেকে কোনও রিপোর্ট জমা পড়েনি। এর জেরেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতিরা।
এদিন আদালত, সরকারি আইনজীবীকে প্রশ্ন করে, পরিবহণ দফতরের কাছে এব্যাপারে তথ্য নেই, না কি তারা তথ্য আদালতে পেশ করতে চায় না। আদালতের নির্দেশ অমান্য করার জন্য এদিন পরিবহণ দফতরকে ১০,০০০ টাকা জরিমানা করেন বিচারপতিরা।
দ্বিতীয় বিয়ে করায় বাবাকে কুপিয়ে খুন ছেলের, শ্বাসনালী কেটে সৎ মা-কেও খুন
বলে রাখি, এর আগে বাসভাড়া নিয়ে বিবাদের মধ্যে পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, কেউ ভাড়া বেশি নিলে বাস থেকে নেমে টিকিট নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ করুন। কিন্তু পরিবহণ মন্ত্রীর পরামর্শ মেনে কজন থানায় গিয়ে FIR করেছিলেন তা এখনো জানা যায়নি। যদিও বাসভাড়া নিয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েই চলেছে রোজই।