Matua Mahasangh case: মতুয়া মহাসঙ্ঘের তহবিল মামলায় মমতাবালার আয়কর সংক্রান্ত তথ্য চাইল হাইকোর্ট

উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী ১ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। গাইঘাটার ঠাকুরনগরে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ নামে থাকা দুটি সংগঠনের মধ্যে একটির সঙ্ঘাধিপতি হলেন মমতাবালা। অন্যটির সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু।

কলকাতা হাইকোর্ট। ছবি সৌজন্য : পিটিআই (PTI)

মতুয়া মহাসঙ্ঘের তহবিল মামলায় স্বস্তি পেলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, কেন্দ্রীয়  প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আপাতত কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। একই সঙ্গে এই মামলায় আয়কর দফতরকে যুক্ত করতে বলেছে আদালত। কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের আয়কর সংক্রান্ত তথ্য জমা দিতে বলেছে।

বৃহস্পতিবার মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী ১ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। গাইঘাটার ঠাকুরনগরে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ নামে থাকা দুটি সংগঠনের মধ্যে একটির সঙ্ঘাধিপতি হলেন মমতাবালা। অন্যটির সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু। মমতাবালা নিজের সংগঠনকে আসল বলে দাবি করে শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে ক্ষমতা হস্তান্তর সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরেই কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। 

মমতাবালা অভিযোগের পরেই মতুয়া সঙ্ঘের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করা হয়। মতুয়াবালা ঠাকুর অভিযোগ করেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের নামে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে বিপুল টাকা জমা করছেন শান্তনু ঠাকুর। মমতাবালা ঠাকুরের অভিযোগ, মানুষকে ভুল বুঝিয়ে, কার্ড তৈরির নামে বিপুল টাকা সংগ্রহ করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে থানা ওই অ্যাকাউন্ট সিল করে দেয়।

এই মামলায় আগে কেস ডায়েরি চেয়েছিল আদালত। সেইমতো এদিন মহাসঙ্ঘের অ্যাকাউন্ট এবং কেস ডায়েরি জমা দেয় রাজ্য। আদালতের প্রশ্নের উত্তরে আইনজীবী জানান, সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা এবং বংশের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য হিসাবে বড়মা মমতাবালাকে এই সঙ্ঘের দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন। শান্তনুকে দেওয়া হয়নি। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, মমতাবালার নামে ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি আছে। তবে সঙ্ঘাধিপতি নামে কোনও পদের সরকারি খাতায় অস্তিত্ব নেই। তবে মমতাবালার আইনজীবী জানান, তিনি সঙ্ঘাধিপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তাই আর্থিক দায়িত্বও তাঁর হাতে রয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশ বেছে বেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন।