গত দু'দিন ধরেই আলোচনায় রয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক। কারণটা ভোটপ্রচার। শ্রীরামপুরের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে বৃহস্পতিবার ভোটপ্রচারে বের হয়েছিলেন কাঞ্চন মল্লিক। সেদিন প্রচার গাড়ি থেকে কার্যত অপমান করে নামিয়ে দেওয়া হয় কাঞ্চনকে। কল্যাণবাবুর নির্দেশে গাড়ি থেকে নামতে সেসময় বাধ্য হয়েছিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক। সাংসদের আচরণে আহত হন কাঞ্চন।
এদিকে সেসময় অসুস্থ হয়ে বাইপাসের ধারে এক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন শ্রীময়ী চট্টরাজ। কাঞ্চন মল্লিককে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনায় মুখ খুলেছেন কাঞ্চনপত্নী। আজতক বাংলা-কে কল্যাণ-কাঞ্চন ইস্যুতে শ্রীময়ী বলেন, ‘আমি দেখলাম, কিন্তু এখানে আমি কী বলব! এটা তো পলিটিক্যাল বিষয়।’ শ্রীময়ীর কথায়, তিনি নিজেও এই বিষয়টিতে অবাক হয়ে গিয়েছেন। তাঁর স্বামী কাঞ্চন মল্লিক রোজই প্রচারে বের হচ্ছেন। তবে এত গরমে ভোট হচ্ছে সেটা নিয়েই তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন বলে জানান শ্রীময়ী।
আরও পড়ুন-'অনেক খেয়েছি, আর না', প্রচারে বের হয়ে চন্দননগরের কোন খাবার খাওয়া হল না রচনার?
শ্রীময়ীর কথায়, ‘এই ঘটনাটা কেন হল কী জানি! খুবই দুর্ভাগ্যজনক বিষয়। ওঁর একটু খারাপ লেগেছে। কারণ কল্যাণদাকে কাঞ্চন খুব ভালোবাসে।’ শ্রীময়ী জানান, ‘সত্য়ি বলতে কী কল্যাণদা ছিলেন বলেই আমাদের বিয়েটা সম্ভব হয়েছে। শুরু থেকেই উনি আমাদের খুব সাপোর্ট করেছেন।’ শ্রীময়া জানান, তাঁর সঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কম কথা হয়, তবে কথা হলে তিনি সবসময়ই তাঁকেও সাপোর্ট করেছেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে হয়ত তাঁদের বিয়েটাই হত না। কাঞ্চনপত্নীর কথায়, ‘হতে পারে কোনও ইন্টারন্যাল ইস্যু, আর গরমে তো কারোও মাথা ঠিক থাকে না। তবে কাঞ্চন একটু হতাশ হয়েছে, খারাপ লাগছে।’
এদিকে কাঞ্চন মল্লিককে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনায় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘এর আগেও ওনাকে নিয়ে আমি প্রচারে বেরিয়েছিলাম। ওনাকে দেখলে গ্রামের মহিলারা ভীষণ রিএক্ট করছেন। আমি ওনাকে আগেই বলে দিয়েছিলাম, গ্রামে এসো না। আর শুধু আমার সঙ্গেই কেন প্রচারে থাকছে? অন্য দিনগুলোও তো ওর প্রচার করা উচিত। তখন তো ও থাকছে না। আমাকে নির্বাচন করতে হচ্ছে। মানুষের মনকে তো আমায় বুঝতে হবে। আমি তো কোনও ব্যক্তি বিশেষের জন্য নই। আমি সমষ্টিগত মানুষের জন্য। ব্যক্তিবিশেষের সুখ বা আনন্দের জন্য আমি সমষ্টিগত মানুষকে কষ্ট দিতে পারব না’।
এদিকে কাঞ্চনের কথায়, ‘আমি বুঝতে পারিনি। গিয়েছিলাম দলীয় প্রচারে। আগেও কল্যাণবাবুর সঙ্গে প্রচারে গিয়েছি। আজ হঠাৎ করেই উনি বললেন, ‘যেও না, গ্রামের মহিলারা রিঅ্যাক্ট করছে। সরি টু সে, আমায় তো ভোটটা করতে হবে। আমিও চলে এসেছি। জানি না তিনি কেন চাননি, হয়তো তাঁর প্রচারের আলাদা কোনও স্ট্র্যাটেজি আছে।’