হাতে আর বেশি সময় নেই। আর দু’সপ্তাহ পর পালিত হবে ছটপুজো। আগামী ১৯ এবং ২০ তারিখে ছটপুজো পালিত হবে রাজ্যে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে পরিবেশ আদালত নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে, রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবরে ছটপুজো নিষিদ্ধ। এখানে কোনওরকম পুজো–আচার করা যাবে না। সুতরাং বাড়তি উদ্যোগ নিতে হচ্ছে কলকাতা পুরসভা ও কেএমডিএ–কে। ছটপুজোর সময় ওই দুই সরোবরে পুণ্যার্থীদের প্রবেশ নিষেধ রাখা হবে। তাই বিকল্প ঘাটের ব্যবস্থা করছে পুরসভা ও কেএমডিএ। পুণ্যার্থীরা যাতে কলকাতা পুরসভা এলাকায় ভালভাবে ছটপুজো করতে পারেন তার জন্য অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
এই বৈঠকে ছটপুজো নিয়ে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুরসভা এলাকায় ছটপুজো করার জন্য কেএমডিএ ৪৭টি ঘাট, কলকাতা পুরসভার গঙ্গার ঘাট এবং কৃত্রিম পুকুর মিলিয়ে ১৩৮টি ঘাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে কারও কোনও অসুবিধা না হয়। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, ছটপুজো করার জন্য বেহালা এবং সংলগ্ন এলাকার পুকুরে বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে শৌচাগার, পোশাক বদলের জায়গা, পর্যাপ্ত আলো এবং পুজোর উপকরণ ফেলার ব্যবস্থা থাকবে।
তবে কেএমডিএ সূত্রে খবর, রবীন্দ্র সরোবরে মোট ১২টি গেট আছে। প্রত্যেকটি প্রবেশপথে বাঁশের ব্যারিকেড করে এবং টিন দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ওখানের জলে দূষণ করা যাবে না। তাছাড়া রবীন্দ্র সরোবরের চারদিকে পুলিশ মোতায়েন করা হবে। যাতে ফাঁক গলে কেউ ভিতরে ঢুকতে না পারে। একইরকম ব্যবস্থা করা হবে সুভাষ সরোবরের পাঁচটি গেটেও। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, রবীন্দ্র সরোবর এলাকা সংলগ্ন ৬৮, ৮৫, ৮৮, ৯৩ ও ৯৪ নম্বর ওয়ার্ডে কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন ঘাটে নিরাপত্তার জন্য ডুবুরি এবং নৌকার ব্যবস্থা থাকবে। থাকবে পুলিশও। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী টহল দেবে।
আরও পড়ুন: আবার শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় বন্ধ হয়ে গেল ট্রেন চলাচল, রবিবার সন্ধ্যায় নাকাল যাত্রীরা
এই ব্যবস্থা করে ছটপুজো নিরাপদে কাটাতে চাইছেন কলকাতা পুরসভার কর্তারা। তবে একবার রবীন্দ্র সরোবরে ঢোকার জন্য ছটপুজোর পুণ্যার্থীরা খুব ঝামেলা করেছিল। তার পর থেকেই কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। কলকাতার এই ১৮টি গঙ্গার ঘাটে ছটপুজোর আয়োজন যেমন থাকে তেমন থাকবে। সেখানে পর্যাপ্ত আলো এবং পানীয় জলের ব্যবস্থাও রাখা থাকবে। পূর্ত দফতর ঘাটজুড়ে ব্যারিকেড করে দেবে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে কলকাতা বন্দর এবং নৌবাহিনী। রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবর এলাকার মানুষকে সচেতন করতে প্রচার ও পথনাটিকা করা হবে।