বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > মোদী সরকারের বরাদ্দ করা ভর্তুকির ছোলা প্রত্যাখ্যান করল মমতা সরকার, কেন?

মোদী সরকারের বরাদ্দ করা ভর্তুকির ছোলা প্রত্যাখ্যান করল মমতা সরকার, কেন?

কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো ভর্তুকির ছোলা প্রত্যাখ্যান করল রাজ্য সরকার।

কেন্দ্রীয় সরকার ভর্তুকিতে ৫৫ টাকা কেজি দরে ছোলার ডাল সরবরাহ করবে। এই দামও রেশন গ্রাহকদের কাছে বেশি। তবে ছোলার ডাল বিপণনের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারগুলিকে রাখা হয়নি। নাফেড এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা বিপণন করবে। এবার নাফেডের কাছ থেকে ছোলার ডাল নিয়ে রেশন দোকানে বিক্রি করতে চাইছে ডিলারদের সংগঠন।

একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে মোদী সরকার বলে অভিযোগ। কেন্দ্র থেকে মেলেনি আবাস যোজনার টাকাও। অন্যান্য যৌথ প্রকল্পের টাকাও দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার বলে অভিযোগ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এবার কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো ভর্তুকির ছোলা প্রত্যাখ্যান করল রাজ্য সরকার। টানা প্রায় এক বছর এই ছোলা প্রত্যাখ্যান করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রেশনে তা নেওয়া হয়নি বলেই খবর। শহর থেকে গ্রামবাংলার মানুষের তেমন হেলদোল নেই। কারণ বাংলার মানুষ ছোলা খেতে অভ্যস্ত নন। তাই তা নিয়েও কোনও লাভ নেই। বাকি যা কিছু রেশনে মিলছে তা দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার রেশন দোকানে ভর্তুকিতে ছোলা সরবরাহ করে। গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে তা চালুও করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে ইস্যু প্রাইসের উপর ১৫ টাকা ছাড় পর্যন্ত দেওয়া হয়। কিন্তু একবারও পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই ছোলা নেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখায়নি। উলটে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বলে অভিযোগ। সুতরাং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে কার্যত কিছুই রেশনে নেওয়া হচ্ছে না বলে নবান্ন সূত্রে খবর। কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ভাত দেওয়ার মুরোদ নেই কিল মারার গোঁসাই। কেন্দ্রের ভিক্ষে লাগবে না।

অন্যদিকে রাজ্য খাদ্য দফতর এককভাবেই এখন চলছে। দুয়ারে রেশন বিখ্যাত হয়েছে। আর কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রকের যে কার্যবিবরণী সেখানে উল্লেখ করা থাকে, কোন রাজ্য কোন মাসে কত পরিমাণ ছোলা নিয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কোনও মাসেই পশ্চিমবঙ্গের নাম নেই। নিলে তো থাকবে। নেয়নি তাই নামও নেই। কেন নেওয়া হল না ছোলা?‌ এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, এই রাজ্যের মানুষের ছোলা খাওয়ার অভ্যাস নেই। কেউ রেশনে তা নিতেও চায় না। তাই ছোলার কতটা ব্যবহার করা যেত তা নিয়ে সংশয় আছে। এই সব কারণেই কেন্দ্রের ভর্তুকির ছোলা নেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন:‌ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগতরা পাচ্ছেন পৃথক হস্টেল, তদন্তের মধ্যেই সিদ্ধান্ত

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ অনেকে মনে করছেন, মিড ডে মিল প্রকল্প এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ছোলা ব্যবহার করা যেত। এবার ঠিক হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার ভর্তুকিতে ৫৫ টাকা কেজি দরে ছোলার ডাল সরবরাহ করবে। এই দামও মধ্যবিত্ত তথা রেশন গ্রাহকদের কাছে বেশি। তবে ছোলার ডাল বিপণনের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারগুলিকে রাখা হয়নি। নাফেড এবং কয়েকটি কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা বিপণন করবে। এবার নাফেডের কাছ থেকে ছোলার ডাল নিয়ে রেশন দোকানে বিক্রি করতে চাইছে ডিলারদের সংগঠন। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানান, কত ছোলার ডাল লাগবে,‌ সেটা নাফেডকে জানানো হয়েছে।

বন্ধ করুন