উত্তর ২৪ পরগনার চিংড়িঘাটার শান্তিনগরে প্রতিবাদী যুবককে খুনের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল। শনিবার রাতে সাহেব আলি নামে ওই যুবককে কাচি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে বিট্টু সরদার নামে এক দুষ্কৃতী। শনিবার সকালে এলাকায় বিট্টুকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। চলে উত্তমমধ্যম। পুলিশ ছিল দর্শকের ভূমিকায়। অভিযুক্তকে উদ্ধার করে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শনিবার রাতে শান্তিনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসান ছিল। ভাসান মিটে যাওয়ার পরেও জোরে লাউড স্পিকার বাজানোর দাবি জানাতে থাকে বিট্টু। প্রতিবাদ করেন সাহেব আলি। এই নিয়ে ২ জনের বচসা বাঁধলে বিট্টু কাঁচি নিয়ে সাহেবের ওপর আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ। এলোপাথাড়ি কোপায় সে। কোপ লাগে বিট্টুর ঘাড়ে ও গলায়। আহত যুবককে উদ্ধার করে NRS হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে বাইপাসের ধারে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে মৃত্যু হয় সাহেব আলি।
এর পর ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিট্টু বিভিন্ন অপরাধে যুক্ত। বারবার গ্রেফতার হলেও তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। অভিযুক্তের গ্রেফতারির দাবিতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।
এই ঘটনায় যখন এলাকা উত্তপ্ত তখনই রবিবার সকালে একটি ট্যাক্সির মধ্যে বিট্টুকে দেখতে পান স্থানীয়রা। তাকে ট্যাক্সি থেকে টেনে বার করে ব্যাপক গণধোলাই দেয় জনতা। অবশেষে তাকে পুলিশ উদ্ধার করে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। এই ঘটনার জেরে চিংড়িঘাটায় কিছুক্ষণের জন্য যানচলাচল ব্যহত হয়।
পরিস্থিতি শান্ত করতে রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি বলেন, ‘যে ছেলেটি এই কাজ করেছে সে একটি পাতাখোর। আমার সঙ্গে ওনার কথা হয়েছে। আমি যা বলার বলেছি।’