তাঁরাও চেয়েছিলেন। তিনিও চান। সুতরাং উভয়পক্ষই সমমনোভাবাপন্ন। তাই আজ নবান্নের সভাঘরে বৈঠকে বসেছিলেন কৃষকনেতা রাকেশ তিকাইত এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখান থেকেই জাতীয় রাজনীতির সলতে পাকানোর কাজ শুরু হয়ে যায়। নভেম্বর মাস থেকে সিংঘু সীমান্তে চলছে কৃষক আন্দোলন। সেই আন্দোলনকে সমর্থন করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আজ তিনি জানান, কৃষকদের দাবি কেন্দ্র না মানা পর্যন্ত তাঁদের পাশেই থাকবেন। তারপরই সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে গদিচ্যুত করাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য।
এদিন সিঙ্গুর–নন্দীগ্রাম আন্দোলনের উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করি। কৃষকদের পাশে আছি। কৃষক আন্দোলন আরও জোরদার করা প্রয়োজন। এই ইস্যুতে অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আমি কথা বলব।’ তখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কী ইউপিএ–কে নেতৃত্ব দেবেন? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি শুধু মোদীকে তাড়াতে চাই।’
সূত্রের খবর, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের লক্ষে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। কারণ লোকসভা নির্বাচনের আগে অন্য রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন বৃদ্ধি করা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর ২০২৪ সালে দিল্লিই যে তাঁর লক্ষ্য এদিন তা বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষক সমাজ তাঁকে সমর্থন দিলে অন্যান্য রাজ্যে সংগঠন তৈরি করা শুধু সময়ের অপেক্ষা। তারই আগাম প্রস্তুতি নবান্নের বৈঠকে হয়ে গেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।