বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Mamata Banerjee: ‘‌ভিভিআইপি’‌র জন্য যান চলাচল বন্ধ করা যাবে না’‌, নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

Mamata Banerjee: ‘‌ভিভিআইপি’‌র জন্য যান চলাচল বন্ধ করা যাবে না’‌, নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (ফাইল ছবি)

মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পর তৎপর হন লালবাজারের কর্তারা। আর শহরের ২৫টি ট্র্যাফিক গার্ডকে জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনও ভিভিআইপি এবং মুখ্যমন্ত্রী যাতায়াত করলেও গাড়ি চলাচল বন্ধ করা যাবে না। আর তার পরেই সোমবার থেকে মুখ্যমন্ত্রীর যাতায়াতের পথে আগে থেকে গাড়ি আটকানো বন্ধ হয়েছে।

তিনি সাধারণ মানুষকে কখনও দুর্ভোগে ফেলতে চান না। তাই মিটিং–মিছিল বুঝে করেন। আবার নিজে ভিভিআইপি হয়েও ব্যবহার করেন না পাইলট কার। কারণ এটা ব্যবহার করলে রাস্তা আটকে তাঁকে যেতে হবে। তাতে যানজটে আটকে পড়বেন মানুষজন। তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে দিয়েই তিনি যাতায়াত করেন। এবার ভিভিআইপি ব্যক্তিদের যাতায়াতের সময় রাস্তা বন্ধ রাখা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী রাস্তার যান চলাচল তখন বন্ধ পর্যন্ত করা যাবে না। নিজের জন্যও একই নিয়ম জারি থাকবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন লালবাজারের কর্তাদের।

ঠিক কী জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?‌ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতায় আসার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছিলেন, তাঁর গাড়ি যাবে বলে রাস্তায় অন্যান্য গাড়ি আটকানো যাবে না। কারণ যান চলাচল আটকালে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ে। কিন্তু তারপরও মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার কথা ভেবে তাঁর যাতায়াতের আগেই রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিতেন পুলিশকর্তারা। এই কথা জানতে পেরেই এবার ফের একবার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

ঠিক কী দেখতে পান মুখ্যমন্ত্রী?‌ সূত্রের খবর, দু’‌দিন আগে বাড়ি থেকে বিধানসভায় যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন তিনি দেখত পান, রাস্তা পুরো ফাঁকা। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশের কাছে খওঁজ নেন তিনি। তখনই জানতে পারেন, তিনি যাবেন বলে আগে থেকেই গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। এতেই উষ্মাপ্রকাশ করেন তিনি। আর পুলিশ কর্তাদের ডেকে বলেন, ‘‌আমি সাধারণ মানুষের ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছি। তাই আমিও একজন সাধারণ মানুষ। আমার যাতায়াতের জন্য যেন আর পাঁচজন অসুবিধায় না পড়েন দেখবেন। এমনকী অন্য ভিভিআইপি গেলেও সেই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করবেন না। বাংলার মানুষ যেন কোনও কষ্ট না পান। সেটা দেখতে হবে।’‌

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পর তৎপর হন লালবাজারের কর্তারা। আর শহরের ২৫টি ট্র্যাফিক গার্ডকে জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনও ভিভিআইপি এবং মুখ্যমন্ত্রী যাতায়াত করলেও গাড়ি চলাচল বন্ধ করা যাবে না। আর তার পরেই সোমবার থেকে মুখ্যমন্ত্রীর যাতায়াতের পথে আগে থেকে গাড়ি আটকানো বন্ধ হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার কথা ভেবে অন্য কোনও গাড়ি যেন তাঁর গাড়ির কাছাকাছি না আসে সেটার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

বন্ধ করুন