শিক্ষার মান নিয়ে কিছুদিন আগে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আজ, বৃহস্পতিবার নাম না করে শিক্ষা নিয়েই জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় শিক্ষার মান যে অনেক উন্নত হয়েছে সেটা বুঝিয়েছেন তিনি। এখন সিবিএসই–আইসিএসই’র সমান সরকারি স্কুল বোর্ডের শিক্ষা বলে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড বিতরণের অনুষ্ঠানে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আগে বাংলার ছেলেমেয়েদের সঙ্গে সিবিএসই–আইসিএসই বোর্ডের নম্বরের পার্থক্য থাকত। ফলে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেত না। এখন ৮০–৯০ শতাংশ পায়। স্ট্যান্ডার্ড এক হয়ে গিয়েছে। বাংলার প্রাথমিক শিক্ষা সর্বশ্রেষ্ঠ। যাদবপুর এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষায় এক নম্বরে। বাংলার মেধা সবচেয়ে গর্বের। স্নাতক হলেই আমাদের ছেলেমেয়েরা বিদেশে পড়ার সুযোগ পান।’
পড়ুয়াদের আর কী বার্তা দিলেন? এদিন মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি পড়ুয়াদের বার্তা দেন, ‘পড়ুয়াদের অনুরোধ করব, বিদেশে পাকাপাকিভাবে থাকার পরিকল্পনা করবেন না। বিদেশে পড়াশোনা শেষে বাংলায় ফিরে এসো। সবাই যদি তোমরা বিদেশে চলে যাও তাহলে দেশটা কে চালাবে? রাজ্যটা কে চালাবে? তোমরা যাও, কিন্তু বিদেশে পড়ে দেশে ফিরে এসো।’
স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নিয়ে কী বলেছেন? এই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। যা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আর্থিক বাধায় যাতে কেউ পড়াশোনার সুযোগ না হারান, তাই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। সরকারি স্কুলের ছাত্রীরা এখন কন্যাশ্রী পান। তফশিলি, আদিবাসী পড়ুয়ারা শিক্ষাশ্রী স্কলারশিপ পান। অনগ্রসর শ্রেণির পড়ুয়াও বঞ্চিত নন। তাঁরা স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ পান।’ বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে ৮ হাজার পড়ুয়াদের হাতে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড বিতরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।