আগামী ২০২৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসতে পারবে না বিজেপি। আজ, বৃহস্পতিবার দলের বর্ষপূর্তির দিন নয়া তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে এই কথাই বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তুলোধনা করলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। এমনকী অমিত শাহের মুখ লুকানো উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো? আজ, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠান সেরে তৃণমূল ভবনে আসেন দলনেত্রী। সেখানে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগে দিল্লি দেখুন। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, জাহাঙ্গীরপুরীতে কী হচ্ছে সেটা ওঁর দেখা উচিত। বাংলা সম্পর্কে বাজে কথা বলা ওঁর শোভা পায় না। এক বছর পরে এসে অমিত শাহের মুখ লুকোনো উচিত। রোজ মিথ্যা কথা বলাটা অন্যায়, অপরাধ। আর একই কথা বারবার বলে যাওয়া, হিজ মাস্টার্স ভয়েস, তোতাপাখির বুলি। এটা মিথ্যাচারের ভ্রষ্টাচার।’
এই কথা যখন তিনি বলছেন তখন রাজ্যে উপস্থিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপরই তিনি সুর সপ্তমে চড়িয়ে বলেন, ‘পেট্রল, ডিজেলের দাম বাড়ছে, ওষুধের দাম বাড়ছে। গ্যাসের দাম বাড়ছে। এটাও তো মানুষের পকেট কাটা হচ্ছে। সেই টাকাটা কোথায় যাচ্ছে? ১৭ লক্ষ কোটি টাকা। এটা কি মানি? পকেট কাটলে কী বলা হয় পকেটমার? কাটমানির সংজ্ঞা কী? তিনি আগে নিজেদের দিকে তাকান। মুর্শিদাবাদের খাতা খুললেই বুঝতে পারবেন গ্যাস, চাকরি আর পেট্রল পাম্প পাইয়ে দেব নিয়ে কত হয়েছে।’
কিভাবে মানুষের কাজ করতে হবে? এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলা উন্নয়নের পথে। মানুষের সঙ্গে থেকেই আমাদের কাজ করতে হবে। যে মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না, কেন পাচ্ছেন না, তার কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিতে হবে। পঞ্চায়েত স্তরে আরও বেশি কাজ করতে হবে। পুরসভায় আরও কাজ করতে হবে। আজকের দিনে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নিয়েছিলাম। তাই আজকের দিনে মা–মাটি–মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমাদের কর্মীরা আমাদের ভরসা।’