নিরাপত্তার স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রীকে সেন্ট্রাল জেলে রাখা উচিত, দাবি বিকাশরঞ্জনের

এর পরই মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে সরাসরি আক্রমণ করেন বিকাশবাবু। তিনি বলেন, শুনছি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাঁচিল উঁচু হবে। সামনে বাম্পার বসবে। এত ঝামেলা করার দরকার কী? ওটা তো একটা বসতি এলাকা।

বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। ফাইল ছবি

মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যুবকের অনুুপ্রবেশের ঘটনাকে ফের একবার ‘সাজানো’ বলে দাবি করলেন সিপিআইএমের রাজ্যসভার সাংসদ তথা বরিষ্ঠ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ প্রতিক্রিয়ায় বিকাশরঞ্জন বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় এত ঝামেলা করে লাভ কী? ওনাকে সেন্ট্রাল জেলে রেখে দেওয়া হোক।’

মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়, রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ভিতর থেকে গ্রেফতার হাফিজুল মোল্লার কাছে ছিল লোহার রড। জামার ভিতরে সেই রড লুকিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অনুপ্রবেশ করেছিল সে। পুলিশের এই তত্ত্ব সম্পূর্ণ সাজানো বলে দাবি করেছেন বিকাশবাবু? তাঁর প্রশ্ন, হাফিজুলের কাছে যে রড ছিল তা জানাতে গোটা ২টো দিন কেন লাগল পুলিশের। জামার মধ্যে লুকানো রড উদ্ধার করতে ২ দিন লেগেছে পুলিশের?

এর পরই মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে সরাসরি আক্রমণ করেন বিকাশবাবু। তিনি বলেন, শুনছি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাঁচিল উঁচু হবে। সামনে বাম্পার বসবে। এত ঝামেলা করার দরকার কী? ওটা তো একটা বসতি এলাকা। এসব করলে ওখানকার বাসিন্দাদের সমস্যা হতে পারে। বরং সেন্ট্রাল জেলে একটা সুন্দর ঘর বানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সেখানে রাখা হোক। উনিও সুরক্ষিত থাকবেন, জনতার করের টাকাও বাঁচবে।

এই ঘটনা নিয়ে সোমবারই মমতাকে আক্রমণ করেছিলেন বিকাশবাবু। তিনি বলেন, যখনই মুখ্যমন্ত্রী কোনও বিষয়ে ফেঁসে যান তখনই প্রাণ সংশয়ের বাহানা তুলে বাঁচার চেষ্টা করেন। এটা ওনার পুরনো অভ্যাস। মানুষ এসব বুঝে গিয়েছে।