বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > শহরে‌র রাজপথে গড়াবে CNG বাস, গ্যাসের জন্য MOU সাক্ষর পরিবহণ দফতরের

শহরে‌র রাজপথে গড়াবে CNG বাস, গ্যাসের জন্য MOU সাক্ষর পরিবহণ দফতরের

শহরে গড়াবে সিএনজি বাস, জ্বালানি ভরাতে মউ সাক্ষর পরিবহণ দফতরের

দূষণ রুখতে উদ্যোগ

দূষণ রুখতে এবং নাগরিকদের খরচ বাঁচাতে গ্যাস অর্থাৎ সিএনজি চালিত বাস রাস্তায় নামানোর উদ্যোগ নিয়েছে পরিবহণ দফতর। পথে বেরিয়ে গ্যাস ফুরিয়ে গেলে যাতে যাত্রী সমেত বাসকে বিপাকে না পড়তে হয়, তার জন্য আগেভাগেই পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্যাস রিফিলিং সেন্টারের গড়ার ব্যবস্থা করতে চাইছে পরিবহণ দফতর। সেজন্য বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানির সঙ্গে মউ চুক্তি সাক্ষর করল পরিবহণ দফতর। এমনটাই জানিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের।

তবে বাস নামানোর আগে শহরজুড়ে সিএনজি পাম্পের সংখ্যা বাড়াতে চাইছে পরিবহণ দফতর। সূত্রের খবর, সোমবার পরিবহণমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানির সঙ্গে বৈঠকে বসে পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা। বৈঠকে দীর্ঘক্ষণ সিএনজি চালিত বাস নিয়ে আলোচনা হয়। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বিষয়ে একটি মউও স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে কবে থেকে চড়া যাবে সিএনজি চালিত বাসে?

এ প্রসঙ্গে পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‌পরিবহণ দফতরের সঙ্গে বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানির মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। অবিলম্বে কলকাতা পুরসভা ও সংলগ্ন এলাকার বাস ডিপোগুলিতে সিএনজি সরবরাহের কাজ শুরু করা হবে। কয়েকদিনের মধ্যে পাইপ লাইনের ব্যবস্থা করা হবে। তবে আপাতত ক্যাপসুল বেসিসে গ্যাস দেবে।’‌ একইসঙ্গে তিনি আশ্বাস দেন, ‘‌এক ঘণ্টায় যাতে ১৫টি বাসে গ্যাস ভরা যায়, সেরকম ভাবেই যন্ত্র বসানো হবে।’‌ সিএনজি চালিত বাস পথে নামলে, শুধু দূষণরোধই নয়, বাস ভাড়াও অনেক কমবে বলে আশাবাদী ফিরহাদ হাকিম।

এছাড়াও ওভারলোডিংয়ের বিষয় একাধিক কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্তের কথা শুনিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী। পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ‘‌ন্যাশনাল হাইওয়েতে ওভারলোডিংয়ের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা না হলেও রাজ্য সড়কের ক্ষতি হচ্ছে। এবার থেকে নিয়মিত চেকিং করা হবে। প্রয়োজনে মাঝ রাস্তায় লোড কমিয়ে দেওয়া হবে। কত পরিমাণ ওভারলোড ছিল, আর পরে কতটা নামানো হল, এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জেলাশাসকের কাছে পাঠানো হবে।’‌ এমনকী, ওভারলোডিংয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ।

পরিবহণ দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কীভাবে পেট্রোল-ডিজেল চালিত বাসগুলোকে সিএনজিতে রূপান্তরিত করা হবে, তা নিয়েও ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে আলোচনা সেরে নিয়েছেন পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা।

বন্ধ করুন