নিউ গড়িয়া–কলকাতা বিমানবন্দর রুটে মেট্রো প্রকল্পের পিয়ার বা স্তম্ভ নির্মাণের জন্য প্রায় এক মাস ধরে চিংড়িহাটা মোড়ে যানজট দেখা দিয়েছে। তবে সেই নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় ৩১৮ পিয়ারের আশেপাশের ব্যারিকেড সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড। এই ব্যারিকেড সরানো হলে চিংড়িহাটা মোড়ে যানজট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে মনে করছে ট্রাফিক পুলিশ। জানা গিয়েছে, এবার ৩১৯ নম্বর পিয়ার তৈরির কাজ শুরু করা হবে।
আরও পড়ুন: নবদিগন্ত মেট্রো স্টেশনের কাজ কোন মাসে শেষ হবে? জেনে নিন নয়া আপডেট
মেট্রো রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, পিয়ার হল থামের মতো একটি অংশ। এটি ব্রিজের দু দিক ধরে রাখে। ফলে মেট্রোর এই ব্রিজের ক্ষেত্রে পিয়ারের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মেট্রো রেল সূত্রের খবর, ওই অংশের নির্মাণ কাজের জন্য ১৭ মে থেকে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছিল। কাজের সুবিধার জন্য রাস্তার একটি নির্দিষ্ট অংশে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এর পরের দিন ১৮ মে থেকে কাজ শুরু হয়। ২৯ মে ১২টি পাইল তৈরির কাজ শেষ হয়। ১৪ জুনের মধ্যে পাইল ক্যাপ ঢালাইয়ের কাজও শেষ হয়ে যায়। উল্লেখ্য, চিংড়িহাটায় কলকাতা মেট্রো রেলের অরেঞ্জ লাইন অর্থাৎ নিউ গড়িয়া–কলকাতা বিমানবন্দর রুটে এই পিয়ার তৈরির কাজ চলছে। ৩১৮ নম্বর পিয়ার তৈরির কাজ সম্পন্ন হওয়ায় সেখান থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে আরভিএনএল।
প্রসঙ্গত, চিংড়িহাটায় প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন যাতায়াত করে থাকে। ফলে এই অংশে যানবাহনের চাপ অনেক বেশি থাকে। মেট্রো প্রকল্পের পিয়ার তৈরির কাজের জন্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল যাত্রী এবং গাড়িচালকদের। তবে ব্যারিকেড সরে যাওয়ায় সেই সমস্যা অনেকটা কমবে বলে মনে করছে ট্রাফিক পুলিশ।
গত মঙ্গলবারই কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জংশনযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছিলেন, নির্মাণের কাজের জন্য কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ মেট্রোকে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করেছে। ইএম বাইপাসের উপর কিছুটা অংশ ট্রাফিক ব্লক না হলে সেই কাজ শেষ করা সম্ভব হতো না। ট্রাফিক ব্লক হওয়ার ফলেই সেই কাজে সুবিধা হয়েছে। এ বিষয়ে কলকাতা মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার উদয় কুমার রেড্ডিও জানিয়েছিলেন, পথচারীদের অসুবিধা যতটা সম্ভব কম হয় তার জন্য মেট্রোর তরফে দ্রুত কাজ শেষ করা হয়েছে। এই কাজ শেষ করার জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল তার আগেই তা সম্পন্ন হয়েছে।
অন্যদিকে, চিংড়িহাটা মোড়ে অবস্থিত উড়ালপুলে ফাটল দেখা দিয়েছে। তারপরেই উড়ালপুল পরিদর্শন করেন বিশেষজ্ঞরা। জানা গিয়েছে, ওই উড়ালপুলেটিকে বন্ধ করে মেরামতের পরামর্শ দিয়েছে সেতু পরামর্শদাতা কমিটি। এই সেতুটি তৈরি হয়েছিল বাম আমলে। অল্প দিনের মধ্যে কইভাবে সেতুর এই অবস্থা? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।