বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > মেডিক্যালে স্নাতকোত্তরে ঢালাও নম্বর, কীভাবে পেলেন পড়ুয়ারা, উঠছে প্রশ্ন

মেডিক্যালে স্নাতকোত্তরে ঢালাও নম্বর, কীভাবে পেলেন পড়ুয়ারা, উঠছে প্রশ্ন

মেডিক্যালে নম্বর বিতর্ক। প্রতীকী ছবি

অতীতের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পড়ুয়া ৬০ শতাংশ পেতেন। ৭৫ নম্বর শতাংশ নম্বর খুব কম সংখ্যক পড়ুয়া পেতেন। এবার মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার বাড়ার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে যেমন মেধা তালিকায় পড়ুয়াদের সংখ্যা বেড়েছে।

অতীতের সমস্ত রেকর্ড ছাপিয়ে এবার ঢালাও নম্বর পেয়েছেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। ১০০০ নম্বরের মধ্যে তিনজন পেয়েছেন ৯০০–র ঘরে, ২৮ জন পেয়েছেন ৮০০–র ঘরে, ৫৫ শতাংশ পেয়েছেন ৭০০–র ঘরে এবং ১৮ শতাংশ পেয়েছেন ৬০০–র ঘরে। ডাক্তারির স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় বেশি নম্বর তোলাটাই কঠিন বিষয়। তারপরেও পড়ুয়ারা কীভাবে এত নম্বর পেলেন? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এই নম্বর দেখে কার্যত বিস্মিত শিক্ষক চিকিৎসকদের একাংশ। অনেকের মতে, এমডি, এমএসএ’র পরীক্ষায় নম্বর লুট হয়েছে।

আরও পড়ুন: পড়াশোনা মাঝপথে বন্ধ কলেজের স্বীকৃতি, ইচ্ছামৃত্যুর আবেদন ১২ মেডিক্যালের পড়ুয়ার

অতীতের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পড়ুয়া ৬০ শতাংশ পেতেন। ৭৫ নম্বর শতাংশ নম্বর খুব কম সংখ্যক পড়ুয়া পেতেন। এবার মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার বাড়ার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে যেমন মেধা তালিকায় পড়ুয়াদের সংখ্যা বেড়েছে। তেমনিই দেখা গিয়েছে ডাক্তারি পরীক্ষার ক্ষেত্রেও। সে ক্ষেত্রে ডাক্তারি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, গণ টোকাটুকি এবং স্বজনপোষণের অভিযোগ এনেছে চিকিৎসকদের একটি সংগঠন। তারা এনিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছেন। 

এ বিষয়ে স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  সুহৃতা পাল বলেন, ‘এই বিষয় নিয়ে বৈঠক হয়েছে। আগামী দিনে যাতে প্রাপ্ত নম্বর সামঞ্জস্য থাকে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ উল্লেখ্য চলতি বছরে এমডি, এমএস পরীক্ষায় মেধা তালিকায় থাকা ১২৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯৫২ জন পরীক্ষার্থী সর্বাধিক নম্বর পেয়েছেন। ২৮ জন পেয়েছেন ৮০০ থেকে ৯০০-র মধ্যে নম্বর। ২২৫ জন পেয়েছেন ৭০০ থেকে ৮০০–র মধ্যে নম্বর এবং ৬৯৯ জনের প্রাপ্ত নম্বর ৬০০ থেকে ৭০০–র মধ্যে। এ বিষয়ে রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র জানান, ‘একসময় মেডিক্যালে ৬০% নম্বর পেতে গিয়ে কাল ঘাম ছুটে যেত। এখন মুড়ি মুড়কির মতো নম্বর দেওয়া হয়েছে। তাঁর আশঙ্কা এতে পরীক্ষার মান বজায় থাকবে না। এত নম্বর দিয়ে আমাদের রাজ্যের পড়ুয়ারা অন্য রাজ্যের থেকে মেধাবী তা প্রমাণ করার চেষ্টা করলে হবে না।’

 প্রদীপ মিত্রের বক্তব্য, এতো নম্বর পাওয়ার পিছনে দুটি কারণ থাকতে পারে, হয় ঠিকমতো খাতা দেখা হয়নি না হলে সকলে ভালো পরীক্ষা দিয়েছেন যে নম্বর কাটার কোন জায়গা ছিল না। ‘অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টর্স’-এর সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। চিকিৎসকদের অভিযোগ, এক্ষেত্রে স্বজন-পোষণ করা হয়েছে। আর এক শ্রেণির চিকিৎসকদের অভিযোগ ডাক্তারিতে এত নম্বর পাওয়া স্বাভাবিক নয়। সেক্ষেত্রে কারচুপি হয়েছে।

 

বন্ধ করুন