চলতি আইপিএলে ফিল্ডারদের দুর্দান্ত সব ক্যাচ নিতে দেখা গিয়েছে। ঠিক তেমনই নিতান্ত সহজ সব ক্যাচ ছাড়ার ঘটনাও চোখে পড়েছে। ক্রিকেটের মাঠে বাউন্ডারির বাইরে দর্শকদের অনবদ্য সব ক্যাচ ধরার ঘটনাও দেখা যায় মাঝে মধ্যেই। বল বয়দের উৎকৃষ্ট ফিল্ডিংয়ের নমুনাও চোখে পড়ে ইতিউতি। তবে রবিবার কিংবদন্তি জন্টি রোডসের সামনে যে রকম দুর্দান্ত একটি ক্যাচ ধরলেন লখনউ বনাম কেকেআর ম্যাচের এক বল বয়, তার প্রশংসা না করে পারেননি ধারাভাষ্যকাররাও।
কেকেআরের ঝুলিয়ে দেওয়া বিরাট রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে লখনউ সুপার জায়ান্টস ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই অর্শিন কুলকার্নির উইকেট হারিয়ে বসে। ১.৬ ওভারে মিচেল স্টার্কের বলে রমনদীপ সিংয়ের হাতে ধরা পড়েন লখনউ ওপেনার অর্শিন। সুপার জায়ান্টস দলগত ২০ রানে ১ উইকেট হারানোর পরে ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন মার্কাস স্টইনিস।
অজি তারকা তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে প্রথমবার ব্যাট করার সুযোগ পান। তিনি নিজের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে খাতা খোলেন। ২.৫ ওভারে বৈভব আরোরার শর্ট বলে আপার কাট শট খেলেন স্টইনিস। বল চলে যায় ডিপ-থার্ড অঞ্চলে বাউন্ডারির বাইরে। সেখানে কোনও ফিল্ডার ছিলেন না। তবে বাউন্ডারি লাইনের বাইরে ছিলেন এক বল বয়। সেই বল বয় নিজের ডান দিকে বেশ কিছুটা দৌড়ে এসে ক্যাচ ধরে নেন।
লখনউয়ের ডাগ-আউটে বসে থাকা ফিল্ডিং কোচ জন্টি রোডসের চোখ এড়ায়নি বিষয়টা। ফিল্ডিংয়ের রাজা করতালিতে কুর্নিশ জানান বল বয়ের দক্ষতাকে। সেই সঙ্গে তিনি ডাগ-আউট থেকেই হাতের উপর সই করার ইশারায় বুঝিয়ে দেন যে, অটোগ্রাফ চান বল বয়ের। ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়াও প্রশংসা করেন বল বয়ের ক্যাচের।
ম্যাচে হোম টিম লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ৯৮ রানের বড় ব্যবধানে হারের মুখ দেখতে হয়। একানায় টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে কেকেআর। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২৩৫ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। সুনীল নারিন ৬টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে ৩৯ বলে ৮১ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলেন। ৩টি উইকেট নেন লখনউয়ের নবীন উল হক।
পালটা ব্যাট করতে নেমে লখনউ সুপার জায়ান্টস ১৬.১ ওভারে ১৩৭ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ২১ বলে ৩৬ রান করেন মার্কাস স্টইনিস। হর্ষিত রানা ও বরুণ চক্রবর্তী ৩টি করে উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা হন নারিন।