লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রাজ্যে। সেইজন্য এবার হটস্পটগুলিতে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্য স্বাস্থ্যদফতরের এক শীর্ষ কর্তা এই কথা জানিয়েছেন। কেন্দ্রের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯০। রাজ্য সরকার জানিয়েছে এরমধ্যে অ্যাক্টিভ কেস ১১০।
জানা যাচ্ছে যে ঘরে ঘরে গিয়ে এই সমীক্ষা করবে পুরসভার কর্মীরা ও ASHA শ্রমিকরা। যারা ডেঙ্গু পরীক্ষা করেন, তাদেরও এই কাজে লাগানো হবে। স্বাস্থ্যদফতর জানিয়েছে যে ঘরে ঘরে গিয়ে দেখা হবে যে কেউ জ্বর, গলাব্যথা, কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদিতে ভুগছেন কিনা। তবে এই কাজে যাওয়া কর্মীদের যথাযথ সুরক্ষাকবচ দিয়ে পাঠানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন এই কর্তা। পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক ও গ্লাভস দেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। একটি মোবাইল অ্যাপও চালু করা যেখানে অসুস্থ ব্যক্তিদের বিষয় তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
করোনা রোধে রাজ্যসরকার যে ১১টি পদক্ষেপ নিচ্ছে, তারমধ্যে অন্যতম এটি। এছাড়াও বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠিত হয়েছে যেটি রাজ্যে অসুখের গতিপ্রকৃতির ওপর চোখ রাখছেন। একটি বিশেষ ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে হটস্পট চিহ্নিত করার জন্য যেখানে অতিরিক্ত কড়াকড়ির সঙ্গে লকডাউন মানা হচ্ছে। কোনও ভাবেই যাতে করোনা রাজ্যের অন্য অঞ্চলে ছড়িয়ে না যায়, সেটা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট প্রশাসন। তাই করোনা রোগীদের কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। যেসব মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের এলাকা ও যারা তার সংস্পর্শে এসেছেন, তারা যেখানে থাকেন, সেই সব অঞ্চলেও সাফাইয়ের কাজ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
যে সব ফিভার ক্লিনিক তৈরী করেছে রাজ্য সরকার, সেখানে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের বাধ্যতামূলক ভাবে পিপিই ব্যবহার করতে হবে।জ্বর নিয়ে যারা আসছেন, সবাইকে করোনা আক্রান্ত হিসাবেই সতর্কতার খাতিরে প্রাথমিকভাবে ধরে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে প্রশাসন। সতর্ক থাকলেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াই য়ে জেতা যাবে, আশাবাদী প্রশাসন।