কে ঠিক কে ভুল! সিপিএম কংগ্রেস বা তৃণমূলের অবস্থানটা ঠিক কী? সব যেন গোলমাল হয়ে গেল শুক্রবার। কার্যত মুম্বইতে ইন্ডিয়া জোটে দোস্তি আর বাংলা ধূপগুড়িতে কুস্তির ছবি দেখা গেল। এই হিসেবটাই বুঝতে পারছেন না অনেকেই। অর্থাৎ মুম্বইতে ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম সব সেটিং। আর বাংলায় এলেই সেই সেটিং ভেঙে চূড়মার। এটা কীভাবে সম্ভব?
সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম ধূপগুড়ি থেকে বললেন, মোদী মমতার সেটিংয়ের কথা। আর সেই দলের নেতা সীতারাম ইয়েচুরি রাজ্যে আসন সমঝোতা করে বিজেপিকে হঠানোর পক্ষে সওয়াল করলেন। একই দলের দুই নেতার এমন দ্বৈত অবস্থানকে ঘিরে কার্যত হতবাক দলের নীচু তলার কর্মীরা।
সেলিম এদিন বলেন, ভাইপো দেশ বিদেশে গিয়ে কয়লা পাচারের টাকা পাচার করবে আর হাইকোর্ট বলছে কেন ধরছ না। মোদীর ইডি সিবিআই কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিজেপি- তৃণমূলের মধ্য়ে ঝগড়া? বিজেপিকে জিজ্ঞাসা করুন এই চুরি জোচ্চরি সন্ত্রাস খুন আটকাতে পারছে। কোল্ড স্টোরেজে হয় না পুরানো মাল পচে গেলে বের করে ফেলতে হয়। তেমনি তৃণমূলের খুন ধর্ষণ নারী পাচার করেছে তারই কয়েক বস্তা মাল দিল্লিতে গিয়ে এমপি হয়ে গিয়েছে। বেঙ্গালুরুতে কী হচ্ছে, মুম্বইতে কী হচ্ছে, দিল্লিতে রাতের অন্ধকারে কী হয়েছে ভোররাতে কেন গেলেন রাহুল গান্ধীর কাছে? এসব বলা হচ্ছে। কিন্তু ধূপগুড়িতে কী হচ্ছে। বাম ও কংগ্রেস একসঙ্গে একজনকে দাঁড় করিয়েছে।
কার্যত নাম না করে মহম্মদ সেলিম এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে ইন্ডিয়া জোটের যে কয়েকজনের নাম সমণ্বয় কমিটিতে আছেন তার মধ্য়ে অন্যতম হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কি জোটে সিপিএম নেতারা অভিষেকের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না? কেন এই নামটা নিয়ে জোটের অন্দরে তাঁরা আপত্তি করেননি? অনেকের মতে, ফের সিপিএমের দুমুখো রূপ প্রকাশ্য়ে। বাংলায় যে শত্রু সে মুম্বইতে জোটের মিটিংয়ে কীভাবে বন্ধু হয়ে যাচ্ছে এটা কিছুতেই বোঝা যাচ্ছে না।