আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে তৃতীয় দফার লোকসভা নির্বাচন। আর এই সকাল থেকেই নানা অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। ইভিএম খারাপের অভিযোগ বেশি আসতে শুরু করেছে। তার সঙ্গে বোমাবাজি এবং মারধর তো আছেই। সুতরাং সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র। এই আবহে এবার জাল এজেন্ট ধরে তাঁকে বের করে দিলেন মুর্শিদাবাদের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের লোচনপুরে এমন বেনজির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। সেখানে সিপিএমের এজেন্টের ফর্ম নিয়ে অন্য দলের ‘ভুয়ো’ এজেন্ট বসেছিল বলে অভিযোগ। এমনকী প্রকৃত সিপিএম এজেন্টকে বুথে ঢুকতে না দিয়ে ওই ‘ভুয়ো’ এজেন্ট ভিতরে ঢুকে পড়ে। সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম খবর পেয়ে পৌঁছন এলাকায়।
এদিকে আজ সকালেই চারটি কেন্দ্রে সকাল ৮টা পর্যন্ত ৬০টির বেশি ইভিএম খারাপের অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যে বেশিরভাগ অভিযোগ এসেছে মালদা দক্ষিণ এবং জঙ্গিপুর থেকে। মুর্শিদাবাদে বোমাবাজি, সিপিএম এজেন্টকে মারধর এবং ইভিএম বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে। গোপীনাথপুর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের বুথে ঢুকে জাল এজেন্টকে টেনে বের করে আনলেন মুর্শিদাবাদের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। এই ঘটনায় উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তার আগে মুর্শিদাবাদ লোকসভার আমডহরা এলাকায় আক্রান্ত হন বাম–কংগ্রেস কর্মীরা। কয়েকজন চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: ভোট দিতে গেলেন না মালদার মহিলারা, উন্নয়ন না হওয়ার অভিযোগে শুরু বুথের সামনে অনশন
অন্যদিকে এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আবার রানিনগরে গ্রেফতার করা হয় এক ভুয়ো এজেন্টকে। রানিনগরের মরিচা নিচুপাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বাড়ির পিছনে বোমা ফাটিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ বাম–কংগ্রেস জোটের কর্মীদের বিরুদ্ধে উঠেছে। তবে ভুয়ো এজেন্টকে মহম্মদ সেলিম ধরে ফেলেন। মহম্মদ সেলিম নিজে বুথে পৌঁছে এজেন্টের কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন। তারপর তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। গ্রেফতার করা হয় ওই ‘ভুয়ো’ এজেন্টকে। ভুয়ো এজেন্ট হওয়ার কথা স্বীকার করেন ওই ব্যক্তি।
এছাড়া মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদে ভোটগ্রহণ চলছে। তবে আজ সকাল থেকে নির্বাচন কমিশনের দফতরে অভিযোগের পাহাড় জমা হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে সিপিএম। লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফায় অশান্তির অভিযোগ ওঠে মুর্শিদাবাদে। চার কেন্দ্র মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কাছে মোট ১৮২টি অভিযোগ জমা পড়েছে। দলগতভাবে অভিযোগ জমা পড়েছে ৯৯টি। যার মধ্যে সিপিএমের অভিযোগ সব থেকে বেশি–৭৩টি। কংগ্রেস ১২টি এবং তৃণমূল ও বিজেপি দুটি করে অভিযোগ করেছে। সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘লোচনপুরে সিপিএমের এজেন্টকে মারধর করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর সেই জায়গায় তৃণমূলের এজেন্ট বসানো হয়েছিল। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’