তাঁকে উদ্দেশ করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ‘বিন তুঘলক’ কটাক্ষের কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বললেন, ‘আজ মধ্যরাতের মধ্যে কী করি দেখুন।’ তবে কি উচ্চশিক্ষা নিয়ে রাজ্য – রাজ্যপাল সংঘত নতুন কোনও উচ্চতায় পৌঁছতে চলেছে? আনন্দ বোসের মন্তব্যে উঠছে সেই প্রশ্ন।
শনিবার বিধাননগরের পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল বোস বলেন, ‘আমার কাজে আমি খুশি। আজ মধ্যরাতের মধ্যে কী পদক্ষেপ করি দেখুন।’
শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘আগে ওনাকে আলাউদ্দিন খিলজি ভাবতাম, এখন দেখছি উনি বিন তুঘলক।’ রাজ্যপালকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এদিন রাজ্যপালের পালটা মন্তব্যে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। তবে কী পদক্ষেপ করতে চলেছেন রাজ্যপাল? তিনি কি রাজ্য নিযুক্ত সমস্ত উপাচার্যকেই বরখাস্ত করতে চলেছেন? না কি শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে চলেছেন তিনি।
উপাচার্য নিয়োগের একচ্ছত্র এক্তিয়ার রয়েছে রাজ্যপালের। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর রাজ্যের ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল বোস। রাজ্যের অভিযোগ, তাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এমন ব্যক্তিদের উপাচার্য পদে বসানোর হয়েছে। এই নিয়ে আইনি পদক্ষেপ করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে জবর ধাক্কা খাওয়ার পর ফের আদালতে যাওয়ার সাহস এখনো দেখিয়ে উঠতে পারেননি তিনি।
রাজ্য – রাজ্যপাল সংঘাতে দু-পক্ষের সঙ্গেই দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছে বাম ও কংগ্রেস। তাদের দাবি, এই সংঘাতের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির।