কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের নিরাপত্তারক্ষীকে নিয়ে বৃহস্পতিবারই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। সেই নিরাপত্তারক্ষীকে এবার গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম অরবিন্দ বৈদ্য। তাঁকে গ্রেফতার করে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম। গতরাতই অরবিন্দকে গরেফতার করে পুলিশ। দেবাঞ্জনের জালিয়াতির সঙ্গে অরবিন্দ যুক্ত ছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। এদিকে অরবিন্দ নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, দেবাঞ্জনের কারবার সম্পর্কে তিনি কিছুই আগে থেকে জানতেন না। তবে তদন্তকারীদের দাবি, যিনি সবসময় দেবাঞ্জনের সঙ্গে থাকতেন, তিনি কীভাবে কিছুই জানতেন না? উল্লেখ্য, দেবাঞ্জনের দেহরক্ষী অরবিন্দের মাসিক বেতন ছিল ৬০ হাজার টাকা।
এর আগে বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সংবাদিক সম্মেলন করেন তৃণমূল সাংসদ তথা দলের জাতীয় মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি বলেন, 'প্রতারক দেবাঞ্জন দেবের দেহরক্ষী রাজভবনে কেন? ঘনিষ্ঠতার গুরুত্ব আপনারা বুঝতেই পারছেন। তদন্তকারীদের গোচরে বিষয়টি আনছি, আসল তথ্য সামনে আসুক। রাজ্যপালের সঙ্গে প্রতারকের দেহরক্ষীর যোগ থাকলে তা দেশের পক্ষে ভয়ঙ্কর।'
ভুয়ো টিকা কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর বিজেপির তরফে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে দেবাঞ্জনের ছবি প্রকাশ্যে এনে অভিযোগ করা হয় এই ঘটনার সঙ্গে শাসকদলের যোগ রয়েছে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস গোটা বিষয়টি অস্বীকার করে। শাসকদলের বক্তব্য অভিযুক্তের সঙ্গে ছবি থাকা মানে তাঁরাও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত এমন নয়। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের সেই যুক্তি মানতে রাজি হয়নি রাজ্যের বিরোধীদল।
এই আবহে এবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেবাঞ্জন দেবের দেহরক্ষীর ছবি প্রকাশ্যে এনে পালটা আক্রমণে নামল তৃণমূল। সুখেন্দুশেখর রায় অভিযোগ করেন, 'এই দেহরক্ষীর মাধ্যমে অনেকের কাছে খাম যেত। যদি দেখা যায় এই দেহরক্ষীর সঙ্গে রাজ্যপালের কোনও সম্পর্ক রয়েছে তাহলে তা ভয়ানক। প্রতারকের দেহরক্ষী রাজ্যপালের বৃত্তে গেল কী করে, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তদন্ত করে সত্যটা জানা প্রয়োজন।'