রাজ্যে হিন্দুদের উৎসবে ইচ্ছা করে গোলমাল করা হচ্ছে। দরকারে হাতে অস্ত্র তুলে নেবে হিন্দুরা। শুক্রবার হনুমান জয়ন্তীর পরদিন সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বললেন বিজেপির সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, যারা CAA, নূপুর শর্মার বক্তব্য নিয়ে গোলমাল করেছে তারাই হিন্দুদের অনুষ্ঠানে হামলা করছে।
দিলীপবাবুর কথায়, ‘হিন্দুদের উৎসবে ইচ্ছা করে গোলমাল করানো হচ্ছে। তারাই করছে যারা নির্বাচনে গণ্ডগোল করে। তারাই করে, যারা CAA-র পর আক্রমণ করেছে, নূপুর শর্মার বক্তব্য নিয়ে আক্রমণ করেছে, সেই একই লোক গণ্ডগোল করছে। আর বাহানা দিয়ে হিন্দুদের ধর্ম টর্ম বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীকালে হিন্দুদের বিয়ে থাহা, শোভাযাত্রা বেরোবে না। বাড়ির মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। এটাই রাজনীতি। ভোট দিতে বেরোবে না হিন্দুরা। তারা নিজেরা লুঠে পুটে খাবে। এটা আদালত বন্ধ করেছে’।
দিলীপবাবু বলেন, ‘আমার মনে হয় এই বাহানা দেওয়া বন্ধ করতে হবে। হিন্দুরা তাদের মতো করে উৎসব পালন করবে। বাকিরা তাদের মতো উৎসব করবে। আর যদি তলোয়ার, বোম আছে বলে আটকায় তখন হিন্দুরা নিজেদের ধার্মিক অধিকার রক্ষা করার জন্য অস্ত্র হাতেও নামবে। নামার দরকার আছে। নইলে এরা সব বন্ধ করে দেবে’।
রাম নবমীর মিছিলে হামলা পরবর্তী হিংসার পর হনুমান জয়ন্তীতে রাজ্যে আধাসেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সঙ্গে রাজনৈতিক নেতারা রাম নবমী নিয়ে কোনও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।