একুশের নির্বাচনের আগেই বাংলার মানুষ দেখেছিলেন দুয়ারে সরকার। তারপর ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল দুয়ারে ত্রান। করোনাভাইরাসের প্রকোপে মানুষের সেবায় নিয়ে আসা হয়েছিল দুয়ারে রেশন। এবার নিয়ে আসা হল ‘দুয়ারে কেএমসি’। অর্থাৎ বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছবে কলকাতা পুরসভা। পৌঁছে দেওয়া হবে পুর–পরিষেবা। সাংবাদিক বৈঠক করে এই কথাই ঘোষণা করলেন পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। দ্রুত কলকাতা পুরসভা ‘দুয়ারে কেএমসি’ নিয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পৌঁছবে। মিউটেশন ও অ্যাসেসমেন্টের কাজ হবে সেখান থেকেই।
করোনাভাইরাসের জেরে নাজেহাল রাজ্যবাসী। গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হয়েছে গত প্রায় দেড় বছর ধরে। বাইরে বেরোলেও বিধিনিষেধ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুরসভায় গিয়ে জমি, বাড়ি মিউটেশনের কাজ বা অ্যাসেসমেন্ট কর জমা দেওয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয়ে উঠছে না। আবার পুরসভায় মানুষের ভিড় হলে সংক্রমণ ছড়ানোর ভয়ও থাকে। তার উপর সম্প্রতি বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে পুরভবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে। তাই মহম্মদ পাহাড়ের কাছে না গেলেও, এবার পাহাড়ই মহম্মদের কাছে আসবে। অর্থাৎ ‘দুয়ারে কেএমসি’।
এবার উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছে গেলে উভয়েরই সুবিধা হবে বলে মনে করছে পুর কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘প্রত্যেকটি পাড়ায়, ওয়ার্ডে কলকাতা পুরসভার প্রতিনিধিদল শিবির করবে। সেখানেই পুরসভার মিউটেশন থেকে অ্যাসেসমেন্ট কর দেওয়া যাবে। এইসব কাজের জন্য কলকাতা পুরসভার অন্যান্য কার্যালয়ে যেতে হবে না। বিপুল পরিমাণে এই করের টাকা বকেয়া। মিউটেশনের কাজও অনেকেরই বাকি। তাই বাড়ির দরজায় পৌঁছনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা।
এদিন ফিরহাদ হাকিম ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ‘প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুরসভা মোট ৩৫ লক্ষ ভ্যাকসিন দিয়েছে। দৈনিক ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ভ্যাকসিন দেওয়ার মতো পরিকাঠামো কলকাতা পুরসভার রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কোনও ভ্যাকসিনই আসছে না। বাধ্য হয়ে আমরা শুক্রবার এবং শনিবার প্রথম ডোজ়ের টিকা দেওয়া বন্ধ রাখছি। তবে দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া চলবে।’