পুজোয় বৃষ্টির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সেইসঙ্গে পুজোর কটা দিন বিদ্যুৎ পরিষেবা সচল রাখতে আপত্কালীন ভিত্তিতে তৈরি থাকছে বিদ্যুৎ দফতর। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে কথাই জানালেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সেইসঙ্গে আজ থেকে একাদশী অর্থাৎ ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম খোলা রাখার কথা জানিয়ে দেন তিনি।
এদিন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, পুজোর সময় বৃষ্টির আশঙ্কা আছে। সেজন্য রাজ্যের সমস্ত জায়গায় জেনারেটর, পাওয়ার পয়েন্ট সবকিছু মজুত করে রাখা হয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, রাজ্যের উত্তরের ঘূর্ণাবর্তের জন্য আগামিকাল পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। সেই দুর্যোগ কাটতে না কাটতেই ১০ অক্টোবর পঞ্চমীর দিন আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। ফলে অষ্টমী থেকে পুজোর আনন্দ মাটি করতে হাজির হতে পারে বৃষ্টি। এর ফলে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে আবহাওয়াবিদদের সতর্কবাণীর কথা মাথায় রেখে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতর।
একইসঙ্গে বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, ‘এই বছর আজ পর্যন্ত ডব্লিউবিএসইডিসিএল এলাকায় ৩৭৫.৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লোড আছে ও সিএসইসি এলাকায় ৪০ মেগাওয়াট। মোট ৪১৫.৪ মেগাওয়াট। গত বছরের তুলনায় লোড এই বছর সামান্য বেড়েছে।’ পুজোয় যাতে নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা পাওয়া যায়, সেজন্য তিনি জানান, ‘রাজ্যের সমস্ত জেলার হেডকোয়ার্টার্সে কন্ট্রোল রুম খোলা থাকছে। জেলার কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকছেন রিজিওনাল ম্যানেজার। সাবস্টেশনগুলিতে দায়িত্বে থাকবেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার। সার্বিকভাবে দায়িত্বে থাকবেন জোনাল ম্যানেজাররা।’ পাশাপাশি বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, ‘বিদ্যুৎ ভবনের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকবেন বিদ্যুৎ দপ্তরের এসিএস, সিএমডি পিডিসিএল ,সিএমডি ডব্লিউবিএসইডিসিএল।’
এদিন রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের তরফে কন্ট্রোল রূমে ফোন করার জন্য নম্বরও দেওয়া হয়। কন্ট্রোল রুমের যে দুই নম্বর দেওয়া হয়েছে, সেই নম্বরে ছবি পাঠাতে পারা যাবে ও ফোনও করা যাবে। এই কন্ট্রোল রুমের নম্বর দুটি হল ৮৯০০৭৯৩৫০৩ ও ৮৯০০৭৯৩৫০৪ ও সিইএসসির কন্ট্রোল রুমের নম্বর হল ৯৮৩১০৭৯৬৬৬ ও ৯৮৩১০৮৩৭০০। বিদ্যুৎ মন্ত্রী জানান, পুজোর কানেকশনের জন্য আজ দুপুর ১টা পর্যন্ত ডব্লিউবিএসইডিসিএল এলাকায় ৩৭ হাজার ৯৫০টি আবেদনপত্র এসেছে ও সিইএসসি এলাকায় আবেদনপত্র এসেছে ৪,৬৫৮টি। গত বছর ছিল ডব্লিউবিএসইডিসিএল এলাকায় ৩৬৩০৬টি ও সিইএসসি এলাকায় ৪,৬০০টি। যতগুলি আবেদনপত্র এসেছিল সবগুলি কানেকশন করে দেওয়া হয়ে গিয়েছে।
়েছে।