আর তো পুজোর বেশি দেরি নেই। বছরভর এই কয়েকটা আনন্দমুখর দিনের জন্যই অপেক্ষা করেন রাজ্যবাসী। উদ্যোক্তারাও পুজোকে আরও দৃষ্টিনন্দন করার জন্য নানা চিন্তাভাবনা করেন। ঠিক তেমনি পূর্ব কলকাতার বাগুইআটিতে নজরুল পার্ক উন্নয়ন সমিতিও তাঁদের পুজোর আয়োজন নিয়েও মিটিংয়ে বসেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁদের মনে আসে মুখ্যমন্ত্রীর কথা। সিদ্ধান্ত হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মসনদে বসার পরে রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পকে পুজোর মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আদলেই তৈরি হবে মণ্ডপ। থিমের নাম দেওয়া হচ্ছে 'তুমিই ভরসা।'
তবে চমকের এখানেই শেষ নয়। মমতার আদলে দেবীমূর্তি তৈরির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। ফাইবার গ্লাস দিয়ে মূর্তিটি তৈরি হবে। কুমোরটুলির প্রতিমাশিল্পী মিন্টু পালকে প্রতিমা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমি আমার মতো করে মূর্তি তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছি। শাস্ত্রবিধি মেনে এই মূর্তির পুজো হবে না।পূজোর জন্য অন্য় একটি প্রথামাফিক মূর্তি গড়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর সংগ্রামী জীবন ও তাঁর বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনাকে মূর্তি গড়ার সময় মাথায় রাখা হচ্ছে।
এদিকে উদ্যোক্তাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর উচ্চতা ও দেহের ওজনকেও মূর্তি তৈরির সময় মাথায় রাখা হচ্ছে। মমতার মতোই সাদা শাড়ি, পায়ে হাওয়াই চপ্পল থাকবে। তবে এক্ষেত্রে দেবীর মতোই দশ হাত থাকবে মূর্তির। সেই দশ হাতে অবশ্য অস্ত্র থাকবে না। মুখ্যমন্ত্রীর ১০টি স্বপ্নের প্রকল্পের কথা উল্লেখ করা থাকবে সেই হাতে। বিশ্ব বাংলার লোগোকে মূর্তির চালচিত্র হিসাবে ব্যবহার করা হবে। তবে উদ্যোক্তাদের দাবি এই উদ্যোগের মধ্যে কোনও রাজনীতি খুঁজবেন না। রাজ্যের উন্নয়নকে তুলে ধরার জন্য়ই এই প্রয়াস।