একদিন আগেই নবম–দশম–একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক পদের চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে নিজের অফিসে দেখা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, রবিবার এসএসসি’র শারীরশিক্ষা–কর্মশিক্ষা পদের চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কাছে গিয়ে দেখা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আর তারপরই স্কুলে প্রধানশিক্ষক এবং শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে আলোচনার জন্য উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সোমবার বিকাশ ভবনে এই বৈঠক হওয়ার কথা।
কেন এই বৈঠক ডাকা হল? চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করতে চায় রাজ্য সরকার। সেই বার্তা শীর্ষস্তর থেকে দেওয়ার পরই বিষয়টি বাস্তবায়িত করতে বৈঠক ডেকেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলে সূত্রের খবর। সোমবার আবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে শিক্ষামন্ত্রীর এই বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। নিয়োগ ছাড়াও আরও কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন শিক্ষামন্ত্রী। এমনকী শিক্ষা দফতরের আধিকারিক পর্যায়ের রদবদল হতে পারে বৈঠকে।
নিয়োগ নিয়ে কী জটিলতা কেটেছে? নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে শূন্যপদের তালিকা চেয়ে পাঠায় কলকাতা হাইকোর্ট। এই বিষয়ে স্কুলশিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব জানান, রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে ২,৩২৫টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। আর মোট শূন্যপদ রয়েছে ২১,৬৯৪। তখন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এই সব শূন্যপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও আইনি বাধা নেই। তাই দ্রুত নিয়োগ করা হোক। তারপরই সোমবারের বৈঠক ডাকেন শিক্ষামন্ত্রী।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘটনা দল এবং সরকারের মুখ পুড়িয়েছে। সেখানে এই নিয়োগ হলে সেটার ডয়ামেজ কন্ট্রোল করা যাবে। তাই সোমবার ব্রাত্য বসুর ডাকা বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় হতে চলেছে স্কুলে প্রধানশিক্ষক নিয়োগ। এই পদে বহুদিন নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। রাজ্যের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগ নিয়েও আলোচনা হতে চলেছে।