উচ্চ মাধ্যমিকে পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। তা সত্ত্বেও সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে লুকিয়ে মোবাইল নিয়ে ঢুকে পড়েছে পরীক্ষার্থীরা। শেষ দিনে মোবাইল সহ ধরা পড়েছে দুই পরীক্ষার্থী। সব মিলিয়ে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রের মোবাইলসহ প্রবেশের অভিযোগে ৪১ জনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে কীভাবে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বে পরীক্ষার্থীরা মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে ঢুকে পড়ল তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এ নিয়ে মুখ খুললেন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এর জন্য তিনি শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারীদেরই দায়ী করেছেন। সে ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিকে একইদিনে মোবাইল সহ ধরা পড়ল ৭ পড়ুয়া, পরীক্ষা বাতিল সংসদের
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, মোবাইলসহ যে সমস্ত পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করেছে তাদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ করা হয়েছে। পরীক্ষা হল থেকে ধরা পরা মোবাইলের তথ্য বিশ্লেষণ করে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষাগত ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সাবধানে তদন্ত করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এছাড়াও ভুয়ো প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেওয়ার চক্রের বিরুদ্ধে সংসদ এবং প্রশাসন কীভাবে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছে সে বিষয়টিও তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী। প্রসঙ্গত, এবার উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী ছিল ৭ লক্ষ ৯০ হাজার ২১ জন। যার মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যায় ছিল বেশি। এ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের প্রশংসা করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বাংলার মেয়েদের জন্য যে সমস্ত ঐতিহাসিক প্রকল্প চালু করেছেন সেগুলি যে সফল তা এই সংখ্যা থেকেই বোঝা যাচ্ছে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, মূলত পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি জেলার একাধিক পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশের ঘটনা সামনে এসেছে। যারা মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এরপর তাদের শোকজ করা হবে বা অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি স্কুলের তরফে সংসদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। তবে এই ধরনের ঘটনায় ক্ষমা চাওয়া যে যথেষ্ট নয় সে বিষয়টিও স্পষ্ট করেছেন সংসদ সভাপতি। উল্লেখ্য, এবার উচ্চমাধ্যমিকে যে ৪১ জন পরীক্ষার ধরা পড়েছে তার মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা হল ২৫ জন এবং ১৬ জন হল ছাত্র।