রাজ্য–রাজনীতিতে এখন বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে, ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বর। এই কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে জোর তৎপরতা শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সূত্রের খবর, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র নাকি অডিয়ো মুছে ফেলতে বলেছিলেন তদন্তকারী অফিসারকে। তাই আদালতের নির্দেশের পরই সুজয়কৃষ্ণর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চেয়ে এসএসকেএম হাসপাতালকে চিঠি দিয়েছে ইডি। যে কোনও জায়গায় গিয়ে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা যাবে বলে ইডিকে নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ আদালত। আর তারপর থেকে সক্রিয়তা তুঙ্গে উঠেছে।
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় বারবার উঠে এসেছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম। ইতিমধ্যেই বাইপাস সার্জারি হওয়ার ২ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও এসএসকেএম হাসপাতালে আছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে কয়েকদিন আগেই এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছয় ইডি অফিসাররা। এই কণ্ঠস্বর পেলেই অনেক তদন্ত সহজেই হয়ে যাবে বলে মনে করছেন অফিসাররা। সূত্রের খবর, এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি থাকার কারণে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারছে না ইডি। কেন এতদিন এসএসকেএম হাসপাতালে সুজয়কৃষ্ণ? কী চিকিৎসা চলছে? কী ওষুধ দেওয়া হচ্ছে কালীঘাটের কাকুকে? এইসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর এই প্রশ্নগুলি হাসপাতাল সুপারের কাছে জানতে চেয়ে বয়ান রেকর্ড করছে ইডি। দরকার পড়লে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন হাসপাতালে সুজয়কৃষ্ণকে চিকিৎসা করানো হতে পারে। এমন ভাবনাও করা হয়েছে।
অন্যদিকে আগে সংবাদমাধ্যমে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র তখন বলেন, ‘সব সত্যি একদিন সামনে আসবে।’ আপনার সাহেবের বিষয়ে জানতে চেয়েছে ইডি? জবাবে কালীঘাটের কাকু বলেন, হ্যাঁ। কী জিজ্ঞাসা করল? আবার তাঁর সটান জবাব, ‘সেটা বলা যাবে না।’ কালীঘাটের কাকুর সাহেব কে? এই প্রশ্নও উঠছে। তবে সেটা জানার জন্য ইডি অনেক চেষ্টা করছে। কিন্তু তাঁদের চেষ্টায় বিস্তর ফাঁক থেকে যাচ্ছে বলেই কলকাতা হাইকোর্টে বারবার ভর্ৎসনা শুনতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: একমঞ্চে আবার এলেন শুভেন্দু–কৌস্তভ, মিলন হবে কত দিনে? দুর্গাপুজোয় দারুণ দৃশ্য
আর কী জানা যাচ্ছে? সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু আগে বলেছিলেন, ‘আমি লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডসে কাজ করি। আমার সাহেবকে কোনওদিন ছুঁতে পারবে না। তাই আমায় টানাটানি করছে।’ আদালতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে প্রভাবশালী বলে উল্লেখ করে ইডি। আর তাঁদের আইনজীবী বলেন, ‘সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র প্রভাবশালী। জেলে গিয়ে অন্যকিছু করতে পারেন। জেল হেফাজতে কে আসছে, কে যাচ্ছে জানা সম্ভব হবে না। জেলের সিসিটিভি ফুটেজ রেকর্ড সংগ্রহ করা হোক।’