আজ, মহানবমী। আর এই দিনে পানিহাটিতে বিজেপি নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির দুর্গাপুজোয় আসলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর পাশে সহকর্মীর মতো কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে দেখা গেল। কৌস্তভ বাগচী কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদান করছেন বলে তখন থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। পৃথক মঞ্চের কথা আগেই বলেছিলেন কৌস্তভ বাগচী। আজও সে বিষয়ে সওয়াল করলেন। সবাই কৌশলে এই যোগদানের বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও কথা যে দু’পক্ষের মধ্যে হয়েছে সেটা একেবারে পরিষ্কার। তাই রাজ্য–রাজনীতি নিয়ে যাঁরা ব্যস্ত থাকেন তাঁদের এখন একটাই প্রশ্ন, মিলন হবে কত দিনে?
আসলে কৌস্তভ কবে বিজেপিতে যোগ দেবেন? এটাই এখন রাজ্যের মানুষ জানতে চান। কারণ শুভেন্দুর সঙ্গে এত সখ্য এবং বারবার বিরোধী দলনেতার প্রশংসা এই প্রশ্নের জন্মই দিয়েছে। দুর্গাপুজোর নিমন্ত্রণে তাঁরা হাজির হয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু সেই পুজোর আড়ালেই হয়ে গেল নানা আলোচনা। যা বাইরে আসেনি। কিন্তু একে অন্যকে সমর্থন অবশ্যই করেছেন প্রকাশ্যে আর তাতেই রাজ্য–রাজনীতিতে গুঞ্জন তৈরি হয়। অথচ ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতো আচরণ করতে দেখা গেল দু’জনকেই। শুভেন্দু অধিকারী সবই বললেন আবার যে কিছুই বললেন না গোছের বক্তব্য রাখলেন সাংবাদিকদের সামনে। কৌস্তভ বাগচীও খানিকটা মেনে নিলেও যেন সবটা মেনে নিলেন না এমন সব কথাবার্তা বললেন।
ঠিক কী বলেছেন বিরোধী দলনেতা? এই মাখো মাখো সম্পর্কটা দেখা বিরোধী দলনেতার কাছে জানতে চাওয়া হয়, কৌস্তভ কবে যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে? জবাবে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস দলকে উৎখাত করার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা হওয়া দরকার। আমরা সবাই নো ভোট টু মমতার লক্ষ্যে সবাই এক। তবে ও যথেষ্ট শিক্ষিত এবং পরিপক্ক ছেলে। ও নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যের জন্য একটা প্ল্যাটফর্ম বেছে নিতে হয়। বিকল্প ব্যবস্থা হওয়া দরকার।’ সুতরাং কৌস্তভ এবং শুভেন্দুর মধ্যে যে রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে সেটা প্রমাণিত। অথচ সবটা খোলসা করলেন না শুভেন্দু।
আরও পড়ুন: বিএমডব্লু গাড়ির কাচ ভেঙে নগদ প্রায় ১৪ লাখ টাকা চুরি, দুই চোরকে ধরে ফেলল পুলিশ
ঠিক কী বলছেন কৌস্তভ? বিজেপির সঙ্গে সখ্যতা বাড়ানোর পর কংগ্রেসে এখন খুব কোণঠাসা কৌস্তভ বাগচী। কিন্তু বিজেপিতে যোগদান করার প্রশ্নে কৌস্তুভ বাগচী বলেন, ‘রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকাকে কোনওভাবে অস্বীকার করা যায় না। উনি যেভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সমগ্র বিরোধী রাজনৈতিক বিষয়টাকে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। রাজ্যের সরকারকে উৎখাত করার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা দরকার আছে। এখন বিজেপিতে যোগদান নিয়ে চিন্তাভাবনা আমি করছি না। কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা রাজ্যে হোক এটা আমি চাই। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর থেকে ভালো কেউ নেই।’