মুখ্যমন্ত্রী ধমক খেয়ে রাতেই প্রিন্সেপ ঘাট পরিদর্শনে গেলেন পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। স্থাপত্য বিশেষজ্ঞ এবং পুর আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে তিনি প্রিন্সেপ ঘাট থেকে জাজেস ঘাট পর্যন্ত ঘুরে দেখেন। ঘাটের বেহাল অবস্থার জন্য আঙুল তোলেন পুর ইঞ্জিনিয়ার এবং পুলিশের ভুমিকায়। পাশাপাশি এলাকা অপরিষ্কার থাকার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
মেয়র বলেন, 'আমি ঘুরে দেখলাম ওখানে কিছু টাইলস খোলা রয়েছে। যারা বসে হকারি করছে তারা ময়লা ফেলে। আমাদের পুলিশ ও ইঞ্জিনিয়ার হাঁ করে তা তাকিয়ে দেখে।' ক্ষোভ প্রকাশ করেন বন্দর এবং রেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও। তাঁর কথায়,'ওখানে (প্রিন্সেপ ঘাট এলাকায়) কিছু পোর্টের এবং রেলের জায়গা আছে কিন্তু তা পরিষ্কার হয় না। ওদের বলব জায়গাটা পরিষ্কার করতে। নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে।' এর আগে একাধিক বার বন্দর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বলা হয়েছে, তা সত্ত্বেও পোর্ট কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন। তবে এবার বন্দর কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ না করলে কলকাতা পুরসভা নিজেই সাফাইয়ের কাজ শুরু করবে। সেক্ষেত্রে বন্দর কর্তৃপক্ষ যদি বাধা দেয় তবে জেলে যেতে তিনি রাজি বলে জানান ফিরহাদ।
সোমবার স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রিন্সেপ ঘাটের অবস্থা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি কার্যত ধমক দিয়ে মন্ত্রী ফিরহাদকে বলেন, অবিলম্বের ঘাট সংলগ্ন এলাকা সংষ্কারের। পাশাপাশি গঙ্গার দুপারে সৌন্দর্যায়নের বিষয়টির উপর জোর দিতে নির্দেশ দেন তিনি। ঘাটে যাতে আরতি করা যায় তারও ব্যবস্থা করতে বলেন তিনি। এর পরই রাতে হেঁটে প্রিন্সেপ ঘাট থেকে জাজেস ঘাট পর্যন্ত ঘুরে দেখেন মেয়র।
ফিরহাদ বলেন, 'গঙ্গার দু'পাশে কী ভাবে সৌন্দর্যায়ন করা যায় ঘুরে দেখলাম। এ ব্যাপারে কেএমডিএ একটি এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট বার করবে। তার ভিত্তিতে কাজ শুরু হবে।'