সমুদ্র থেকে মাছ ধরে মৎস্যজীবীরা ফিরছিলেন উপকূলে। সেই সময় ঘটল ভয়াবহ বিপদ। মাঝ সমুদ্রে আচমকাই জল ঢুকতে শুরু করল ট্রলারে। উপকূল থেকে মৎস্যজীবীরা তখনও ২৫ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের মধ্যে রয়েছেন। এই অবস্থায় অন্য মৎস্যজীবীদের তৎপরতায় ডুবন্ত ট্রলার থেকে কোনওভাবে প্রাণে বাঁচলেন ৪ মৎস্যজীবী।
জানা যাচ্ছে, বঙ্গোপসাগরের জলদা খাঁড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে। যে ট্রলারে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরে বাড়ি ফিরছিলেন সেই ট্রলারের নাম মা অন্নপূর্ণা। মাছ ধরার সময় কোনও কিছুর আঘাতে ট্রলারের পাটাতন ভেঙে যায়। প্রথমদিকে বিষয়টি নজরে না আসলেও পরে জল ঢুকতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মৎস্যজীবীরা। মাঝ সমুদ্রে তা মেরামত করার কোনও সরঞ্জামও ছিল না তাদের কাছে। তাই তড়িঘড়ি তারা বালতি এবং অন্যান্য সরঞ্জামের সাহায্যে জল বের করে বাইরে ফেলে দিতে তৎপর হয়ে পড়েন। কিন্তু, যেভাবে ট্রলারে ভিতর জল ঢুকছিল তা কোনওভাবেই তাদের পক্ষে বাইরে বের করে ফেলা সম্ভব হচ্ছিল না। তখন আশেপাশের মৎস্যজীবীদের সাহায্য চেয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন অন্নপূর্ণা ট্রলারের মৎস্যজীবীরা।
বিপদ বুঝতে পেরেই তাদের পাশ দিয়ে যাওয়া মৎস্যজীবীরা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন। তড়িঘড়ি তারাও বালতি নিয়ে মা অন্নপূর্ণা ট্রলারের মৎস্যজীবীদের সাহায্যে নেমে পড়েন। তবে শেষমেষ কোনওভাবেই জল বের করা সম্ভব হয়নি। একসময় জল ভর্তি হয়ে ডুবে যায় মা অন্নপূর্ণা ট্রলারটি। এরইমধ্যে, ওই মৎস্যজীবীদের ট্রলারে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বাঁচেন মা অন্নপূর্ণার ৪ মৎস্যজীবী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, মৎস্যজীবীরা সাগরের মহিষা মারী এলাকার বাসিন্দা। বঙ্গোপসাগরের যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছিল সেখান থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ছিল উপকূল। তবে বরাতজোরে প্রাণে বাঁচতে পেরে অন্যান্য মৎস্যজীবীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মা অন্নপূর্ণা ট্রলারে মৎস্যজীবীরা।