রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নানাবিধ কাজ করছেন। কখনও পিস রুম খুলছেন, আবার কখনও ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে খুলেছেন আমনে–সামনে। দুর্গারত্ন ছিল তাঁর সাম্প্রতিক সংযোজন। তবে এবার তিনি সবকিছুকে ছাপিয়ে গেলেন। আজ, রবিবার ইডেন গার্ডেন্সে চলে ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ ম্যাচ। যা দেখতে ভিড় উপচে পড়েছে ক্রিকেটের নন্দনকাননে। বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি দেখে যখন দেশবাসী মুগ্ধ তখন রাজ্যপাল ক্রিকেট টিম গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করলেন রাজভবন থেকে। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
বিষয়টি ঠিক কেমন হবে? রাজ্যপালের এই ক্রিকেট টিম কিন্তু অভিনব। কারণ বাচ্চাদের নিয়ে ক্রিকেট দল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আজ, রবিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ঘোষণা করেন ‘গভর্নরস সেঞ্চুরি গ্রুপ’। এটিই তাঁর ক্রিকেট টিমের নাম। এখানে প্রতিভাবান ১০০ জন শিশু ক্রিকেটারকে চিহ্নিত করা হবে। আর তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। স্কুলগুলি তাদের প্রতিভাবান ক্রিকেটার চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করবে। পরে গ্র্যান্ড জুরি তাদের মধ্যে থেকে ফাইনাল বাছাই করবে। রাজভবন কোচ ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবে। এই সেঞ্চুরি গ্রুপের সদস্যদের গ্রুমিং করবে রাজভবন।
কোথায় ঠিক প্রশিক্ষণ হবে? এদিকে কলকাতা, দার্জিলিং ও ব্যারাকপুরের রাজভবন ক্যাম্পাসে এই শিশু ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তার সঙ্গে থাকবে অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা। একই ধরনের উদ্যোগ চালু করা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও। আজ, রবিবার ইডেনে ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ চলাকালীন এমন ঘোষণা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তবে এখানেও রাজ্যপালের সমান্তরাল কাজ করার অভিপ্রায় দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এই ম্যাচের টিকিট শনিবার রাজ্যপাল ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তারপর জনতা স্টেডিয়াম নাম দিয়ে রাজভবনের লনে জায়ান্ট স্ক্রিনে লাগান তিনি। ম্যাচ দেখার ব্যবস্থা করে রাজ্যপাল টিম গড়ার কথা ঘোষণা করলেন। যা সবাইকে চমকে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: দুঃসাহসিক ডাকাতি পূর্ব মেদিনীপুরের সোনার দোকানে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের বেঁধে লুঠপাট
ঠিক কী বলছেন রাজ্যপাল? অন্যদিকে এদিন রবিবাসরীয় দুপুরে হালকা মেজাজে দেখা যায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। জনতা স্টেডিয়ামে প্রথম থেকেই বসে খেলা দেখছিলেন রাজ্যপাল। পরনে ছিল ইন্ডিয়া ক্রিকেট টিমের জার্সি। এখন ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ৩২৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে। আর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, ‘সকলের মধ্যেই ক্রিকেট নিয়ে একটা আলাদা উন্মাদনা আছে। তবে স্থান সংকুলান না হওয়ার কারণে সকলের পক্ষে তো ইডেন গার্ডেন্সে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই আমরা ভাবলাম রাজভবন তো ইডেনের খুব কাছেই। আমরা যদি সাধারণ মানুষের জন্য এরকম একটা ব্যবস্থা করি তাহলে সবাই খুবই আনন্দ পাবেন।’