মহালয়ার আগে থেকেই জেলা জেলায় দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ প্রতিপদেও একগুচ্ছ প্রতিমার উদ্বোধন করেছেন তিনি। এরই মাঝে বিকালে শহরে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়লেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
রবিবার বিকালে প্রথমে তিনি রাজভবন থেকে কুমোরটুলি যান। সেখানে কথা বলেন মৃৎশিল্পীদের সঙ্গে। তাঁদের কাছে প্রতিমা তৈরির প্রক্রিয়া নিয়ে খোঁজ খবর নেন। দুর্গাপুজোর পর কোন প্রতিমা তৈরি হবে তা তিনি জানতে চান। মৃৎশিল্পীদের জন্য উপহার নিয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস। সেই উপহার তিনি তাঁদের হাতে তুলে দেন। সেখানে এক মৃৎশিল্পী তাঁর হাতে লক্ষ্মী-গণেশের মুর্তি তুলে দেন। অনেক তাঁর সঙ্গে সেফলি তুলতে চান। সেই আবদারও মেটান রাজ্যপাল। এরই মাঝেই রাজ্যপালের সামনে ধ্বনি ওঠে, ‘জয় দুর্গা, জয় বাংলা’। আবার মণ্ডপে প্রতিমা নিতে আসা অপেক্ষারত ক্লাব প্রতিষ্ঠানের কেউ কেউ 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনিও।
কুমোরটুলি থেকে তিনি রাওনা দেন দক্ষিণ কলকাতার উদ্দেশে। সেখানে তিনি যান একডালিয়া এভারগ্রিনে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পুজো হিসাবে পরিচিত একডালিয়ায় বেশ খানিকক্ষণ সময় কাটান রাজ্যপাল বোস।
(পড়তে পারেন। ‘৪কেজি ওজন কমেছে’, পুজো উদ্বোধনের মাঝে নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে আপডেট দিলেন মমতা)
একডালিয়া এভারগ্রিণে এখনও পুরোপুরি মণ্ডপ তৈরি হয়নি। প্রতিমার আবরণ উন্মোচন হয়নি। তবে ইতিমধ্যে মণ্ডপে ভিড় জমিয়েছেন দর্শনার্থীরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। তিনি কথা বলেন মণ্ডপ তৈরির কারিগরদের সঙ্গেও।
সোমবার একডালিয়ার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বছর ৮১ বছরে পা দিয়েছে এই পুজো। রাজ্যপালকে স্বাগত জানাতে এগিয়ে আসেন পুজো কমিটির সম্পাদক স্বপন মহাপাত্র। রাজ্যপাল তাঁর কাছ থেকে মণ্ডপের খুঁটিনাটি জানতে চান। সেখানে শিশুদের সঙ্গে ছবিও তোলেন তিনি।
তবে এই শেষ নয়, আরও একদিন শহরের পুজো দেখতে বেরোবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তেমনটা জানিয়েছেন সাংবাদিকদের।