কলকাতার রিপন স্ট্রিটের একটি স্কুল। আচমকাই জানা গিয়েছিল সেই স্কুলের নাকি অনুমোদনই নেই। এরপরই এনিয়ে মারাত্মক উদ্বেগের মধ্য়ে পড়েন অভিভাবকরা। কারণ অনেকেরই বোর্ড পরীক্ষার ব্যাপার রয়েছে। সেক্ষেত্রে তারাও সমস্যায় পড়ে যেতে পারেন। তবে এই ঘটনায় তৎপর হয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কেন্দ্রের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্যকে স্পেশাল অফিসার হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি স্কুলে গিয়ে সমস্যার কথা শুনবেন। ও সোমবার আদালতে এসে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেবেন।
এদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষ কার্যত স্বীকার করে নেয় তাদের স্কুলের অনুমোদনের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। এরপরই এনিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। স্কুলের পরিচালন কমিটির ভূমিকাতে তুলোধোনা করে আদালত। সেই সঙ্গেই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, নতুন করে কীভাবে পড়ুয়াদের ভর্তি নিচ্ছেন? তারা তো জানেনই না ওই স্কুলের অনুমোদন নেই। তবে স্কুলের তরফে আইনজীবী জানিয়ে দেন, বোর্ড স্কুলকে অনুমোদন দিচছে না। সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, এই স্কুলের ক্ষেত্রে রাজ্য কোনও টাকা নেয় না। কিন্তু বিচারপতির প্রশ্ন টাকা না নিলেই কি দায়িত্ব রাজ্য এড়াতে পারে?
বেসরকারি স্কুল মানেই সরকার দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। জানিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
সেই সঙ্গেই জানা যায় যে যেখানে স্কুলটি চলছে সেই বাড়ির কমপ্লিশন সার্টিফিকেট নেই। এনিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। প্রশ্ন তোলেন এনিয়ে। প্রয়োজনে এফআইআর করা দরকার বলেও উল্লেখ করেছে আদালত। সব মিলিয়ে স্কুলের অনুমদোন সংক্রান্ত জট কতটা কাটে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন অভিভাবক ও পড়ুয়ারা।