গত বিধানসভা ভোটে বাবুল সুপ্রিয়র ভোটে হারা নিয়ে টিপ্পনি কাটতে দেখা গিয়েছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও তাঁর অনুগামীদের। এবার নিজের হারের কারণ নিজেই ফেসবুকে ব্যাখ্যা দিলেন বাবুল। কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন তিনি। তাঁর কথার সারসক্ষেপ করলে যা দাঁড়ায়, ভোটে জিততে হলে গুণ্ডা পুষতে হয়। একজন মন্ত্রী বা সাংসদের কাছে গুণ্ডা পোষা কী এমন ব্যাপার। কিন্তু তিনি তা করতে পারবেন না।
সম্প্রতি ফেসবুক পোস্টে নিজের হারের কারণ কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বাবুল সুপ্রিয় মন্তব্য করেন, ‘খেলায় হার–জিত আছে। তিন–চার হাজার ভোটে হারলে আমি মেনে নিতাম। কিন্তু ৫০ হাজার ভোটে হারা হাস্যকর ব্যাপার। তাই পুনর্গণনার নাটকে যাইনি।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘কী হচ্ছিল গণনাকেন্দ্রে, তা নিজের চোখে দেখেছি। চূড়ান্ত হতাশ ও বীতশ্রদ্ধ হয়েছি।’ এরপরে কারণ ব্যাখ্যা করে বাবুল জানান, ‘ভোট গণনাটা আমাদের ছেলেরা সামলাতে পারেনি। ওদের দোষ দেওয়াটা ভুল হবে। ওরা ওদের সবটুকু দিয়েছে। কিন্তু শাসকদলের এক্সপিরিয়েন্সড গণনা স্পেশালিস্টদের সঙ্গে গণনাকেন্দ্রের মধ্যে মোকাবিলা করতে পারেনি। শাসকদলের এক্সপিরিয়েম্সড গণনা স্পেশালিস্টদের সঙ্গে ডামি প্রার্থীদের কাউন্টিং এজেন্ট হিসাবে যে বিপুল সংখ্যক দুষ্কৃতী ঢুকেছিল, তাঁদের সামলাতে পারেনি।’ উল্লেখ্য, গত বিধানসভা ভোটে টালিগঞ্জ কেন্দ্রে অরূপ বিশ্বাসের কাছে হেরে যান বাবুল।
এদিন ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট লেখেন বাবুল। তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে জানান, ‘টালিগঞ্জের মানুষকে অযথা দোষ দেবেন না। কারণ, আমি মনে করি না টালিগঞ্জের মানুষ ৫০ হাজার ভোটে হারানোর জন্য ভোট দিয়েছেন। তাঁর মতে, আসানসোলের মানুষের ভালবাসায় তিনি জিতেছিলেন। তারজন্য গুণ্ডা পু্ষে, বুথ লুঠ বা বাড়ি বাড়ি সাদা কাপড় পাঠাতে হয়নি।’ উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফেসবুকে জনৈক এক ব্যক্তি বাবুলের উদ্দেশ্য কমেন্ট করেন, ‘টালিগঞ্জের কাটমানিখোররা, সিন্ডিকেট লোভী ও ভাতাখোররা আপনাকে না জিতিয়ে কী ভুল করেছে আগামী পাঁচ বছর তা টের পাবে। আপনি উত্তরবঙ্গে আসুন। যেকোনও হিন্দু প্রধান আসনে দাঁড়ান। আপনার জয় সুনিশ্চিত করব।’
বাবুল সুপ্রিয়র পুরো পোস্ট-
(Pre-Script: কাজের ফাঁকে একটু একটু করে লেখাটা লিখছিলাম তাই পুরো লেখাটার পুরোটা পোস্ট করার আগেই অনেকে কমেন্ট করেছেন ! Thank you, কিন্তু অনুরোধ করবো, এই 'সম্পূর্ণ' লেখাটি একবার পড়ুন)
এক ভদ্রলোক/শুভানুধ্যায়ী আমাকে নিম্নোক্ত মেসেজ-টি লিখেছেন 👇
"টালিগঞ্জ এর কাটমানিখোররা,সিন্ডিকেটের লোভী,ভাতা খোরা রা আপনাকে না জিতিয়ে কি ভুল করেছে আগামী 5 বছরে টের পাবে,আপনি North Bengal এ আসুন যে কোন হিন্দু প্রধান Sit (এটার spelling-টা Seat হবে) দাঁড়ান আপনার জয় আমরা সুনিশ্চিত করব North Bengal এ আসুন"
(amar ekti message-r comment box ye apnara ei comment ti khunje paben)
এবিষয়ে প্রথম একটি বলতে চাই | মাপ করবেন কিন্তু শুধুমাত্র হিন্দু-প্রধান জায়গা থেকে লড়ার কথা ভাবার মতো মানসিকতাওয়ালা কাপুরুষ আমি নই !!!
যাইহোক, 'রাজনীতি-পরবর্তী-জীবনে' প্রবেশ করার পথে মোট পাঁচটি বিষয় নিয়ে লিখবো বলে ঠিক করেছিলাম | চারটি বিষয় নিয়ে already লিখেছি, পাঁচ নম্বর বিষয়, 'টালিগঞ্জ' নিয়ে একদম শেষে লিখব ভেবেছিলাম - আজ লিখছি আর এটাই 'শেষ-পর্ব' 😊 Khooooooob দরকার না হলে বা কিছু লেখার একান্ত ইচ্ছে না হলে, ব্যক্তিগত রাজনীতি-পর্ব নিয়ে আর কিছু লিখবনা |
প্রথমেই বলি টালিগঞ্জকে অযথা দোষ দেবেন না - আমি কোনো ভাবেই মনে করিন তাঁরা আমাকে ৫০০০০ ভোটে হারানোর জন্য ভোট দিয়েছেন 😊 ওখানে মানুষ আমাকে প্রচুর ভোট দিয়েছেন কিন্তু ভোট গণনাটা আমাদের নতুন ছেলেরা সামলাতে পারেনি | এবং ওদের দোষ দেওয়া অত্যন্ত অন্যায় হবে | ওরা ওদের সবটুকু দিয়েছে কিন্তু শাসকদলের 'Experienced গনণা specialist’ দের সাথে গনণা-কেন্দ্রের ঘরগুলির ভেতরে মোকাবিলা করতে পারেনি | এবং শাসকদলের এই 'Experienced গনণা Specialist' সাথে Dummy প্রার্থী Counting-Agent হিসেবে যে বিপুল সংখ্যক দুষ্কৃতী ভেতরে ঢুকেছিল, তাদের সামলাতে পারেনি | শুধু টালিগঞ্জ নয়, পুরো বাংলা জুড়ে বেশিরভাগ গণনা কেন্দ্রে একই ঘটনা ঘটেছিলো !!! Just তিন রাউন্ডের পরে আমার পোস্ট করা video-টা আজ এই লেখাটির সাথে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি ! কটার সময়ে পোস্টটা করেছি সেটাও দেখে নিতে পারেন আপনারা !
‘নানাকারণে' টালিগঞ্জ অরূপবাবুর শক্ত ঘাঁটি আর আমি তো BOSS-ke (মাননীয় শ্রী অমিত শাহ-কে) বলেই ছিলাম যে, আমাকে যদি প্রার্থী করেনই, তাহলে কোনো কঠিন কেন্দ্রেই করবেন - Home Ground আসানসোলে লড়লে দলের কোনো উপকার হবেনা !! সব খেলায় হার জিৎ আছে | কিন্তু তিন চার হাজার ভোটে হারলে আমি মেনে নিতাম - কিন্তু 50 হাজার ভোটে হারটা হাস্যকর 😊 তাই আর পুনর্গনণার 'নাটকে' যায়নি | কি হচ্ছিলো গণনা কেন্দ্রে সব নিজের চোখ দেখেছি - চূড়ান্ত disillusioned আর হতাশ/বীতশ্রদ্ধ হয়েছি - সঙ্গের ভিডিওটাও ওখান থেকেই পোস্ট করেছিলাম |
অরূপ বিশ্বাস, 2014 আর 2019, দুবারই আসানসোলে আমাকে হারানোর দায়িত্বে ছিলেন | প্রথমবার 70000 আর 2019-এ দুলাখ ভোটে হারিয়েছিলাম - দলের কর্মীদের সাথে নিয়ে, কাজ করে, আসানসোলের মানুষের ভালোবাসায় জিতেছিলাম - গুন্ডা পুষে, বুথ capture বা লুঠ করে কিংবা মাঝ রাতে বাড়ি বাড়ি সাদা কাপড় পাঠিয়ে আমি জিতিনি | কিন্তু আগামী দিনে ভোট জিততে গেলে কি কি করতে হবে তা নিজের চোখ দেখেছি - ২ মে 2021-সে | তা যে আমি পারবো না তা নয় | একজন মন্ত্রী বা MP-র গুন্ডা পোষা etc etc আজকের দিনে কি এমন ব্যাপার !!! কিন্তু আমি তা করবো না - কোনোভাবেই করবো না | মন্ত্রিত্ব কেড়ে নেওয়াতে এটাও স্পষ্ট হলো যে ভোটের আগে বেশ কিছু ব্যাপারে আমার যে আপত্তি গুলো ছিল তাতে দল নিশ্চয়ই মনে করেছে যে বাংলার রাজনীতিতে যে দিকে 'এগোচ্ছে' তাতে আমি 'পিছিয়ে' পড়ছি বা দলের 'বোঝা' হয়ে উঠবো | হয়তো সেটা ঠিকই | Koi Baat Nehi | গান তো রইল আমার - আপনারাও রইলেন, দুবছর আসানসোলের মানুষও রইলো - 'বেশ' ভালোই তো এই জীবন 😊
তাই আবার বলি, টালিগঞ্জকে দোষ দেবেন না | আমাকে ৫০০০০ ভোটে হারানোর জন্য অরূপবাবুর 'উল্লা-দের' 'উল্লাস' করছে - করতে দিন 😊 সেটা আটকানোর কোনো উপায় আমার জানাও তো নেই | আমার মতে গণতন্ত্র হেরেছে কিন্তু জিত তো 'ওদেরই' হয়েছে - টালিগঞ্জের মানুষ অরূপবাবুর জয় খুশি হয়েছেন কিনা জানিনা - কোনো
কোনো মন্তব্যও করবো না |
আমি শুধু আশা করতে পারি যে, ১৫ বছরের লম্বা ইনিংস-এ যে কাজগুলি টালিগঞ্জের মানুষের জন্য তিনবারের বিধায়ক, মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত কাছের মানুষ, প্রবল ক্ষমতাশালী মহামন্ত্রী, অরূপবাবুর করা উচিত ছিল, আগামী পাঁচ বছরে উনি তা করবেন |
Nothing More Nothing Less
Amen
আজ 'শেষ পর্বে' টালিগঞ্জ নিয়ে যে কথাগলি বলার যে ইচ্ছে ছিল, তা লিখতে গিয়ে কখন এতটা লিখে ফেললাম বুঝতেই পারলাম না 🥱😊
অনেক শুভেচ্ছা ও আন্তরিক ভালোবাসা রইলো টলিগঞ্জের জন্য | ভালো থাকবেন আপনারা ❤️🙏
Your’s Truly
Babul সুপ্রিয়