এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছলেন হর্ষ নেওটিয়া। তবে কোন মামলায় তাঁকে তলব করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে হর্ষ নেওটিয়াকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি আকারে ইঙ্গিতে জানান, তাঁকে তলব করা হয়েছে, তাই হাজিরা দিতে এসেছেন। তবে কোন মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে তলব করা হয়েছে, সেই বিষয়ে কিছু মুখ খেলেননি ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, 'এসে বলব'। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৫ সালে হর্ষ নেওটিয়া একবার ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁকে তলব করা হয়েছিল সারদা কাণ্ডের যোগে। (আরও পড়ুন: 'যথেষ্ঠ হয়েছে', অবৈধ নির্মাণ রুখতে নয়া নিয়ম চালু, আইন নিয়ে কড়া বার্তা ফিরহাদের)
আরও পড়ুন: বাংলায় ১ নম্বর স্থান হারাবে তৃণমূল, বলছেন প্রশান্ত কিশোর, কী বলছে মমতার দল?
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের ভোটে রাজ্য সরকারের পতনের পূর্বাভাস, লোকসভায় বাংলার ফল নিয়ে বড় দাবি
উল্লেখ্য, কলকাতায় জন্মানো হর্ষ নেওটিয়া শিল্প মহলে খুবই পরিচিত নাম। তিনি অম্বুজা নেওটিয়া গোষ্ঠীর কর্ণধার। পশ্চিমবঙ্গে একাধিক প্রকল্প ও শিল্প রয়েছে তাঁর সংস্থার। নির্মাণ কাজের সঙ্গেই বেশি যুক্ত হর্ষ নেওটিয়ার অম্বুজা গোষ্ঠী। কলকাতায় একাধিক নাম করা বহুতল তৈরি করেছে তাঁর সংস্থা। তবে হর্ষ নেওটিয়াকে কোন দুর্নীতির পরিপ্রেক্ষিতে তলব করা হয়েছে, তা ইডি সূত্রেও জানা যায়নি। এদিকে হর্ষ নেওটিয়াকে সাক্ষী হিসেবে ডাকা হয়েছে কি না, তাও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, বর্তমানে একাধিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা সহ গরু পাচার, বালি পচার, কয়লা পাচরের মতো মামলারও তদন্তে রয়েছে ইডি। মূলত এই সব দুর্নীতিতে যে আর্থিক লেনদেন হয়েছে, তার সূত্র খুঁজে বার করাই ইডির কাজ। সম্প্রতি রেশন দুর্নীতি নিয়েও বেশ তৎপর হয়েছে ইডি। এই আবহে হর্ষ নেওটিয়াকে কেন ইডি তলব করল, তা নিয়ে নানান জল্পনা তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। (আরও পড়ুন: আমরা তো ছেড়ে দিয়েছি, TMC নেতারাই যাচ্ছেন না, ডেরেকদের নিয়ে দাবি দিল্লি পুলিশের)
আরও পড়ুন: বাংলার ২০০ স্কুল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ বলল...
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেশ ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত হর্ষ নেওটিয়া। মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন সফরের সময় তাঁর সফরসঙ্গী হয়েছিলেন হর্ষ নেওটিয়া। রাজ্যে একাধিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগও করেছে তাঁর সংস্থা। প্রতিবছর বেঙ্গল বিজনেস সামিটে অংশ নেন তিনি। ২০২৩ সালেও অম্বুজা নেওটিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান হর্ষ নেওটিয়া বিজিবিএস-এ ঘোষণা করেন যে রাজ্যের বিভিন্ন হেরিটেজ, সমুদ্র ডেস্টিনেশনে হোটেল তৈরি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দিঘা, শান্তিনিকেতন, দার্জিলিং, সুন্দরবন এবং লাটাগুড়িতে পাঁচটি হোটেল আছে।