দোরগোড়া বৈশাখ। আর তার মধ্যে ক্রমশ রাজ্যে বাড়ছে তাপমাত্রা। দেখা নেই বৃষ্টির। এরই মধ্যে রাজ্যে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করল আলিপুর হাওয়া আপিস। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে পূর্বাঞ্চলীয় আবহাওয়া অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই।
এদিন সঞ্জীববাবু বলেন, রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়বে। ৬ – ৯ এপ্রিল বৃদ্ধির হার কম থাকবে। ১০ – ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত দ্রুত বাড়বে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এই সময়ে রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ফলে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা ও উত্তরবঙ্গের মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুরের কয়েকটি জায়গায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটেয় তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চলতি বছর সময়ের আগেই রাজ্যে হানা দেয় কালবৈশাখী। তার পর রাজস্থানের ওপর তৈরি ঘূর্ণাবর্তের জেরে লাগাতার বেশ কয়েকদিন টানা বৃষ্টি হয় দক্ষিণবঙ্গে। তবে গত কয়েকদিন রাজ্যে বাতাসে জলীয় বাস্পের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। যার ফলে শুষ্ক গরমের মুখোমুখি হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
চিকিৎসকরা বলছেন, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরোলে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত খুব প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় না বেরনোই ভালো। গরমের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শরীর থেকে ঘাম হিসাবে প্রচুর জল বেরিয়ে যায়। পর্যাপ্ত জল খেয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করতে হবে। সঙ্গে শরীরে আয়নের ভারসাম্য বজায় রাখতে খেতে হবে নুন – চিনির জল। রাস্তায় বেরিয়ে অসুস্থ বোধ করলে সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা জায়গায় গিয়ে বিশ্রাম নিতে হবে। শিশুদের গরমে বাইরে বার না করাই ভালো।