বৃহস্পতিবার তাঁকে তলবই করেনি কলকাতা হাইকোর্ট। এই নিয়ে আদালতের কোনও নির্দেশ তাঁর হাতে আসেনি। এদিন বিকালে এক সংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই দাবি করলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। তার দাবি, তাঁকে আদালতে হাজিরা দেওয়া সংক্রান্ত যে খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা ঠিক নয়। মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরুর দিন এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে ১২ বছরের একটি পুরনো মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা এজলাসেই এক চাকরি প্রার্থী নিয়োগপত্র দেন। ওই মামলায় এর আগেই এসএসসিকে নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। কিন্তু এসএসসি থেকে নিয়োগের সুপারিশ করলেও পর্ষদের পক্ষ থেকে কোনও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি ওই ব্যক্তিকে । তাই বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে পর্ষদের সভাপতিকে হাজির থাকার কথা বলা হয়। কিন্তু তিনি আদালতে হাজির হননি। নির্দেশ না মানায় তাঁর বিরুদ্ধে রুল জারি করা হয়েছে বলেও খবর প্রকাশিত হয়। যদিও সভাপতির দাবি তাঁকে ডাকা হয়নি।
আরও পড়ুন: শুনানিতে এজলাসেই নিয়োগপত্র, পর্যবেক্ষণে পর্ষদকে কটাক্ষ বিচারপতি সিনহার
তিনি সংবাদিক বৈঠকে বলেন, 'দুপুর থেকে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। প্রচুর আমাকে ফোন করে জানতে চেয়েছে আমাকে আদালত ডেকেছে কিনা। আমি বিব্রত হয়েছি। আমার কাজ বিঘ্নিত হয়েছে। আমি পরিষ্কার বলতে চাই আমার কাছে এ ধরনের কোনও নির্দেশ আসেনি।' তিনি আরও বলেন,'আজ আমার যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ছিল না। উপায়ও ছিল না। এ ধরনের বিভ্রান্তিতে আমার কিছুটা অসুবিধা হয়েছে ব্যক্তিগত ভাবে।'