আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যে ৪ পুরনিগমে ভোট। সেই ভোট করানোর পক্ষেই আদালতে সওয়াল করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আদালতের কাছে কমিশন জানায়, মানুষের জীবন থেমে না থাকলে ভোট কেন থেমে থাকবে? পুরভোট নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
এদিন মামলাকারীর তরফে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে সওয়াল করে জানান, শুধু বিধাননগরেই ২৩টি কনটেনমেন্ট জোন আছে। কমিশনের উচিত নিজে এগিয়ে এসে ভোট বন্ধ করা। এদিন আদালতে আইনজীবী জানান, এই পরিস্থিতিতে ভোটের প্রচার ঠিকভাবে করা যাচ্ছে না। ভোটাররা বাইরে আসতে পারছেন না। তাহলে ভোটটা কীভাবে দেবেন? তাঁর প্রশ্ন, এই পরিস্থিতিতে ভোট করাটা কী একান্ত জরুরি? মামলাকারীর আইনজীবীর তরফে এই বক্তব্য রাখার পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি খারাপের কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে আদালতকে জানানো হয়, মানুষের দৈনিন্দিন জীবন থেমে থাকে না। ভোট হলে কমিশন পদক্ষেপ নেবে। এদিন রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করে অ্যাডভোকেট জেনারেলও জানান, কমিশন চাইলে স্বাস্থ্য দফতর তাঁদের সাহায্য করবে।
এদিন হাই কোর্টের তরফে আগামী সোমবার কমিশনকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইদিন ফের এই মামলার শুনানি হবে। ইতিমধ্যে বিরোধীদের তরফেও বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি পুরনিগমের ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কথা উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করছি। ভোটাররা যেখানে ভয়ে বেরোতে পারছেন না, সেখানে ভোট হবে কী করে?