রাজ্যের প্রায় ৫০ হাজার প্রাথমিক স্কুল লক্ষ্মী পুজোর দুদিন পর থেকে ও কালীপুজোর আগে পর্যন্ত খোলা থাকবে। অর্থাৎ ১৯ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত খোলা থাকবে। কিন্তু ওই সময়ে ৯৯৯১ টি মাধ্যমিক ও ৬৭৭১টি উচ্চমাধ্য়মিক স্কুল বন্ধ থাকবে বলেই খবর। সেক্ষেত্রে একাধিক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাবর্ষে উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের থেকে নীচু ক্লাসের পড়ুয়ারাই বেশি সংখ্য়ক ক্লাস পাচ্ছে। এদিকে সেমেস্টার পরীক্ষার জন্যও পঠনপাঠন ব্যহত হতে পারে উঁচু ক্লাসের।
এদিকে এভাবে দিনের পর দিন মাধ্য়মিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে এভাবে দিনের পর দিন ক্লাসের সংখ্য়া কমে গেলে তার প্রভাব পড়তে পারে পড়ুয়াদর মধ্য়ে। এনিয়ে অভিভাবকদের অনেকেই যথেষ্ট উদ্বেগের মধ্য়ে রয়েছেন। কারণ ছুটি মানেই যে উঁচু ক্লাসের বেশিরভাগ পড়ুয়া বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করবে এমনটা নয়। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের ছুটি মানেই তারা বাড়িতে বসে মোবাইল দেখার সময় বাড়িয়ে দেবে। স্কুুলে গেলে অন্তত মোবাইল থেকে কিছুটা দূরে রাখা সম্ভব হয়।
এদিকে শিক্ষকদের একাংশের দাবি, পুজোতে একটু ছুটি ছুটির মুডে থাকবে পড়ুয়ারা, এতে আপত্তির কিছু নেই। কিন্তু পড়াশোনার ব্যাপারটাও তো মাথায় রাখতে হবে। দিনের পর দিন ছুটি খাওয়ার পরে পড়াশানো থেকে একেবারে দূরে চলে যাওয়ার মধ্য়ে বাস্তবে পড়ুয়ারা কতটা উপকৃত হবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
সেক্ষেত্রে স্কুল শিক্ষকদের একাংশের দাবি লক্ষ্মীপুজোর পরে ও কালীপুজোর আগে মাধ্য়মিক ও উচ্চমাধ্য়মিক স্কুল খোলা রাখা যেতেই পারে। কারণ এতে দশম শ্রেণি ও দ্বাদশ শ্রেণির টেস্ট দেবে যারা সেই পরীক্ষার্থীরাও কিছুটা হলেও উপকৃত হবে।
আসলে কেবলমাত্র ছুটিতেই দিনের পর দিন কাটিয়ে দিলে আখেরে মাধ্য়মিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের পড়ুয়াদের ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি। এমনটাই মনে করছেন অভিভাবকদের একাংশ। তাঁরাও চান এভাবে দীর্ঘ ছুটি না দিয়ে ছুটি কিছুটা কমানো দরকার। তবে এবার ভোটের জন্য গরমের ছুটি টানা ২২ দিন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে মাধ্য়মিক ও উচ্চমাধ্য়মিক ও প্রাথমিক স্কুলগুলিতে একই ধরনের ছুটির ঘোষণা করা হয়েছে।
ছুটি মানে অবকাশ। ছুটি মানে তো দুপুরবেলা টানা ঘুম। আর মন দিয়ে মোবাইল দেখা। কিন্তু এই ছুটি পড়ুয়াদের কতটা কাজে লাগে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অভিভাবকদের অনেকেই।