রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কোনও অবমাননা মানব না। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি বাংলা সফরে এসে বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান শান্তিনিকেতন। ওদিকে, জাতীয় সঙ্গীত ‘জনগণমন’–র পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। এদিন ফের এ সব নিয়েই সরব হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
মমতা এদিন বিজেপি–কে কটাক্ষ করে বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাকি শান্তিনিকেতনে জন্মেছিলেন, বিশ্বভারতীতে নাকি জন্মাননি।’ তৃণমূল নেত্রী এদিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হোয়্যার দ্য মাইন্ড ইস উইদআউট ফিয়ার’ আর স্বামী বিবেকানন্দের ‘স্ট্রেংথ ইস লাইফ, উইকনেস ইস ডেথ’–এর কথা বলে বিজেপি–র উদ্দেশে বলেন, ‘প্রথমে ওদের এ সব পড়াশোনা করতে বলুন।’
জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের দাবির ব্যাপারে মমতার সাফ কথা, ‘‘জনগণমন’ নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছে তাদের পরিষ্কার বলে দিই, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জনগণমন’ দেশমাতৃকাকে সমর্পণ করে লেখা। এ নিয়ে এতদিন বাদে যদি কেউ প্রশ্ন তোলে, কেউ যদি তাদের নিজের ধর্ম চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, আমি রক্ত দেওয়ার জন্য তৈরি থাকব, কিন্তু ‘জনগণমন’, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বিবেকানন্দ, গান্ধীজিকে কখনও অপমান করতে দেব না।’
রবিবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে বহুত্ববাদের মিলের কথা বলেছেন। এ নিয়ে মমতার কটাক্ষ, ‘আমাকে তো এবার গবেষণা করতে হবে— একাত্মবাদ, বহুত্ববাদ, জাতিবাদ। রবীন্দ্রনাথ হল রবীন্দ্রনাথ। সারা পৃথিবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম, স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, মহাত্মা গান্ধীকে সেলাম করে। কেন করে জানেন? কারণ, তাঁদের একটা আন্তর্জাতিক চেতনা রয়েছে।’