ভবিষ্যতে আর কোনও সংকটে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়াবেন না তিনি। বুধবার এমনই জানালেন শোভনবাবুর স্ত্রী তথা বেহালা পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ‘অপমানিত হওয়ার একটা সীমা আছে।’ প্রসঙ্গত, বান্ধবী বৈশাখিকে তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্ত লিখে দিয়েছেন বলে এদিনই জানিয়েছেন শোভনবাবু।
বুধবার রত্না বলেন, ‘অপমানিত হওয়ার একটা সীমা আছে। ওর বিপদে আর কখনো যাব না। সিবিআই দফতর থেকে হাসপাতালে পদে পদে অপমানিত হয়েও ওর পাশে থেকেছি। কিন্তু আর নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমি ওদের ব্যাপারে কথা বলতে চাই না। যা খুশি করুক। ওদের খবরে মুখ দেখানো চাই। তাই রোজ নতুন নতুন নাটক বার করে। আমি ওদের খবর রাখি না। লোকে এসে আমাকে সব জানায়। আর এসবের জন্য আমার কাজে ক্ষতি হচ্ছে।’
রত্নাদেবী বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে একটা দায়িত্ব দিয়েছেন। একটা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক আমি। তাদের সুখ-দুঃখে পাশে থাকতে হয়।’ সঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে তাঁর পরামর্শ, ‘ওদের একটু কম গুরুত্ব দিন।’
বলে রাখি, বান্ধবী বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি তাঁর স্থাবর অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি লিখে দিয়েছেন বলে বুধবারই জানিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তার মধ্যে রয়েছে তাঁর বেহালার বাড়িটিও। ওদিকে শোভনবাবু গোলপার্কের যে ফ্ল্যাটে থাকেন তার মালিকানা দাবি করে ফ্ল্যাটটি খালি করতে নোটিশ পাঠিয়েছেন শোভনের শ্যালক।