সন্দেশখালিতে ইডির ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের আড়াল করতে ভাড়াটে গুন্ডাদের গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশ। তদন্তে নেমে এমনটাই মনে করছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। ওই ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআই মনে করছে, গত ১২ জানুয়ারি গ্রেফতার হওয়া ৭ জনের মধ্যে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে ইডির ওপর হামলার ঘটনার কোনও যোগই নেই।
আরও পড়ুন: ‘আমরা সু্প্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে ২০২৪ নির্বাচন চাই’, বিজেপিকে ঠুকে দাবি ডেরেকের
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডির ওপর হামলার ঘটনায় ১২ জানুয়ারি ৭ জনকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। তাদের ৫ দিনের জন্য হেফাজতে নেয় সিবিআই। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে, এদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে ইডির ওপর হামলার ঘটনার কোনও যোগ নেই। একথা জানতে পেরে ধৃতদের মধ্যে ২ জনকে নিয়ে গত রবিবার সন্দেশখালিতে হাজির হন তদন্তকারীরা। সেখানে কী ভাবে তাদের পুলিশ গ্রেফতার করেছিল তা অভিনয় করে দেখান তাঁরা।
ধৃতরা জানিয়েছেন, সন্দেশখালির ঘটনার কয়েকদিন পরে সরবেড়িয়ার পঞ্চায়েত প্রধান জিয়াউদ্দিন মোল্লা তাদের একটি আলাঘরে আটকে রাখেন। কিছুদিন পর সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি গেস্ট হাউজে। সেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের এই বয়ানের পর সিবিআই আধিকারিকরা মনে করছেন, আদালতের চোখে ধুলো দিয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের বাঁচাতে এই কাজ করেছে বসিরহাট জেলা পুলিশ।
আরও পড়ুন: গার্ডেনরিচের জের, ৩ ইঞ্জিনিয়ারকে শোকজ, তালিকা করে বেআইনি বাড়ি ভাঙার নির্দেশ
এই ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন বিরোধীরা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘সন্দেশখালিতে পুলিশ ও তৃণমূল হাতে হাত মিলিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছিল। ইডির ওপর হামলার ঘটনার পরেও সেই আঁতাত ভাঙেনি। শুধু শাহজাহানকে পালাতে সাহায্য করা নয়, ঘটনার তদন্তের নামে যে রাজ্য পুলিশ প্রহসন করেছে এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।’