বিড়ম্বনার আর যেন কাটতেই চাইছে না। এবার কোর্ট চত্বরে কার্যত কলতলার ঝগড়া শোভন ও রত্না চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে তিনি সেভাবে কিছু বলেননি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয় কোর্ট চত্বরে।
শনিবার শোভন-রত্নার বিবাহ-বিচ্ছেদ মামলার শুনানি ছিল আলিপুর আদালতে। শুনানিতে হাজির ছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে হাজির ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। মাঝে চা পানের বিরতি তিনজনে মুখোমুখী হতেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।
শোভনকে উদ্দেশ করে চিৎকার করতে থাকেন রত্না। অন্য দিকে পাল্টা চিৎকার করতে থাকেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। ব্যক্তিগত কুৎসা নিয়েই তাঁরা পরস্পরকে আক্রমণ করতে থাকেন। প্রায় দশ মিনিট ধরে চলে এই বিতন্ডা। সেই সময় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিছু বলতে শোনা যায়নি। তিনি শুধু আইনজীবীকে বিষয়টি আদালতের গোচরে আনার কথা বলেন।
বৈশাখী বলেন, 'চা বিরতি চলাকালীন শোভনকে দেখে অনেকক্ষণ ধরে খারাপ মন্তব্য করছিলেন রত্না। তারই জবাব দেন শোভন।' এ বিষয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগেও শোভন-রত্নার তরজা প্রকাশ্যে এসেছে। তবে তা সবটাই ছিল সাংবাদমাধ্যমে। পৃথক পৃথক ভাবে। শুনানির সময় কোর্ট চত্বরে রত্নার লোকজনের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছিল আগে। কিন্তু এই ভাবে কোর্ট চত্বরে দাঁড়িয়ে দুজনকে ঝগড়া করতে দেখা যায়নি। এই প্রথমবার তা নজরে এল।
(পড়তে পারেন। ফাঁকিতে ফাঁসিও না! বিশেষ আই কার্ডে পুলিশ কর্মীদের গতিবিধিতে নজর লালবাজারের)
প্রসঙ্গত, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেহালা পূর্বের বিধায়ক তথা কাউন্সিলর রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বহুদিন ধরে বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা চলছে। আগেও একাধিকবার শুনানি হয়েছে। রত্নার দাবি, সন্তানদের স্বার্থে এই বিবাহ থেকে বেরিয়ে আসতে চান না। অন্য দিকে শোভনের কথায়, 'এটা ডেড ম্যারেজ কেস।' তবে শনিবার শুনানিতে কোর্ট চত্বরে যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হল তা এই প্রথম।